ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনায় জমকালো সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৩ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনায় জমকালো সাংস্কৃতিক পরিবেশনা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: উন্নয়ন ও অর্জনে অসাধারণ সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা জানাতে পরিবেশন করা হয়েছে জমকালো সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। 

স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, স্বল্পন্নোত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন, অস্ট্রেলিয়ায় ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ এবং ভারতের নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রি অর্জনসহ উন্নয়ন ও অর্জনে অসাধারণ অবদান রাখায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণ-সংবর্ধনা দিচ্ছে দলটি।
 
সংবর্ধনার শুরুতে পরিবেশন করা হয় জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

আলোচনা পর্বের ফাঁকে ফাঁকে চলবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
 
শনিবার (২১ জুলাই) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বেলা সাড়ে ৩টায় উদ্যানে পৌঁছান তিনি।
 
অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে অভ্যর্থনা সঙ্গীতের পাশাপাশি জাতীয় ও দলীয় পতাকা নেড়ে স্বাগত জানানো হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
 
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে ‘শেখ হাসিনা, তোমার জন্য বাংলাদেশ ধন্য’ এই শিরোনামে একটিসহ দু’টি গান পরিবেশন করেন শিল্পী মমতাজ।
 
দেশের জনপ্রিয় শিল্পীদের কণ্ঠে গানের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিহাস ঐহিত্য ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে সঙ্গীত, গীতিনাট্য ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
 
দেশের ঐতিহ্য তুলে ধরে পরিবেশন করা হয় ‘আমার প্রিয় বাংলাদেশ’।
 
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে ‘রূপকাহিনীর রূপকথা’ শিরোনামে কবিতার সঙ্গে পরিবেশন করা হয় নৃত্য।
 
দেশের জনপ্রিয় শিল্পীদের দলীয় সঙ্গীতের সঙ্গে নান্দনিক নৃত্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে পরিবেশন করা হয় ‘তুমি শেখ হাসিনা, তুমি অনন্য’।
 
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা হয়।  
 
মূল মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন মন্ত্রীপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতা ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
 
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
 
সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হয়েছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, লাল-সবুজের রঙিন পোশাক পরে জনসভায় যোগ দিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। জয় বাংলা ও শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নামে নানা স্লোগানে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে গোটা এলাকায়।
 
প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা প্রদান উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের পাশে নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। মঞ্চে অতিথিদের আসনের দুই পাশে দু’টি নৌকার প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়েছে।
  
সমাবেশ প্যান্ডেলটি কয়েকটি অংশে ভাগ করা। প্যান্ডেলের বিভিন্ন অংশে স্থাপন করা হয়েছে বড় বড় প্রজেক্টর।
 
উদ্যান এলাকার পাশাপাশি রাজধানীর বিজয় স্মরণী, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, পল্টন, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, জাতীয় সংসদ ভবন, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় নানা ধরনের সাজসজ্জা করা হয়েছে। জাঁকজমক সাজসজ্জার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে নৌকার প্রতিকৃতি।
 
মৎস্য ভবন মোড় থেকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের পাশের সড়ক দিয়ে শিশু পার্ক পর্যন্ত কয়েক ফিটের ব্যবধান রেখে স্থাপন করা হয়েছে অনেকগুলো তোরণ। কারওয়ান বাজারে স্থাপন করা হয়েছে মেট্রোরেলের প্রতিকৃতি।
 
মাদার অব হিউম্যানিটি, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, অনন্য প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন ধরনের প্রশংসাসূচক বাক্য লেখা প্ল্যাকার্ড,  ফেস্টুন ও ব্যানার টানানো হয়েছে। বিভিন্ন সময় পাওয়া পুরস্কারের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন বাণী লেখা প্ল্যাকার্ডও রয়েছে। তুলে ধরে হয়েছে সরকারের নানা অর্জনের কথা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৮
এমইউএম/এসকে/আরএম/পিএম/এসকেবি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।