মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৩ টার দিকে শহরতলীর আকুয়া মোড়লপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সকাল থেকে আকুয়া মোড়লপাড়া এলাকায় আজাদ শেখ ও ফরিদ শেখের মধ্যে গুলিবিনিময় চলছিল।
বিকেলে আজাদকে গুলি ও গলাকাটা অবস্থায় স্থানীয় নাজির বাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মহানগর যুবলীগের সদস্য আজাদ শেখ এক সময় ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের ছেলে ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্তের অনুসারী ছিলেন।
এরপর তার সঙ্গে বিরোধের জের ধরে আজাদ শেখ গ্রুপ বদল করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল ও ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র আওয়ামী লীগ ইকরামুল হক টিটুর গ্রুপে যোগ দেন।
আর ফরিদ শেখ মন্ত্রীর ছেলে শান্তর অনুসারী। মূলত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত দেড় মাস ধরে আকুয়া মোড়লপাড়ায় এই দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের দলের একটি বিশেষ মহলের প্ররোচণায় গত কদিন ধরে এই দুইপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের সামলেছে। কিন্তু সেই মহলটির ইন্দনেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৮
এমএএএম/আরআইএস