তাই চলতি বছরে কোরবানি ঈদটিও কারাগারেই থাকতে হচ্ছে বিএনপি প্রধানকে।
দল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নেত্রী কারাগারে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন বিএনপি প্রধান। ওইদিন থেকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দিন কাটছে তার।
জিয়া অরফানেজসহ কয়েকটি মামলায় জামিন পেয়েছেন খালেদা জিয়া। তবে অন্যান্য মামলার কারণে তার মুক্তি মিলেনি। ফলে রমজানের ঈদের মতো কারাগারে নিঃসঙ্গ অবস্থায় কোরবানি ঈদও কাটাতে হবে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে।
দলীয় রেওয়াজ অনুযায়ী, বিগত ঈদের দিনগুলোতে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিক,বিশিষ্ট নাগরিক, নেতাকর্মী ও নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন খালেদা জিয়া। তবে কারাগারে থাকার কারণে এ বছর তেমন কিছু করছে না বিএনপি।
দলীয় সূত্র বলছে, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে ঈদের দিন কূটনৈতিক বা বিশিষ্টজনদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়সহ অন্যান্য কর্মসূচি পালন করা হবে না।
ঈদের দিন কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা দেখা করতে যাওয়ার কথা। গত রমজানের ঈদেও কারাগারে খালেদার সঙ্গে দেখা করেছিলেন স্বজনরা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় সূত্র জানায়, দলটির সিনিয়র নেতারা ঈদের দিন চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার ওপর নির্ভর করছে বিষয়টি। গত ঈদেও অনুমতি না পাওয়ায় তারা দেখা করতে পারেননি।
অন্য কর্মসূচি না থাকলেও ঈদের দিন নামাজ শেষে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন বিএনপির নেতারা।
এ বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, ঈদ ধর্মীয় উৎসব। ঈদের নামাজ তো পড়তেই হবে। তবে নেত্রীকে ছাড়া আমাদের ঈদের যে আনন্দ, সেটা হবে না।
‘দেশনেত্রী দলের প্রত্যেককে খুব স্নেহ করেন। আমরা তাকে শ্রদ্ধা করি। তাকে সরকার নানা কৌশলে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রেখেছে। এ অবস্থায় আমাদের মনে ঈদের আনন্দ থাকতে পারে না। ’
তিনি বলেন, ঈদের দিন নেত্রীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি। অনুমতি পেলে দেখা করবো। এছাড়া ঈদের দিন সকাল ১১টায় দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে যাবো।
এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো কারাগারে ঈদ করতে হচ্ছে খালেদা জিয়াকে। এর আগে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মইনুল রোডের বাসভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এরপর রাখা হয় সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত সাব-জেলে। সেবার জেলেই কাটে তার দুই ঈদ। এরপর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৮
এমএইচ/এমএ