বুধবার (২২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান বিএনপির সিনিয়র নেতারা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা মাক্কুশাহ মাজার মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
পুলিশ কর্মকর্তার কাছে মহাসচিব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রালয়ে পাঠানো চিঠি দেখান। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, তাদের কাছে কারো সাক্ষাতের বিষয় জানা নেই।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পুলিশ কর্মকর্তাকে বলেন, জেল কোডে বলা আছে যে, ঈদের দিনে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতদের কেউ দেখা করতে চাইলে দেখা করতে দেওয়া হয়। আমরা ১৩ আগস্ট অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। আজ দেখা করতে না দেওয়া দুর্ভাগ্যজনক। আপনারা আজ ঈদের দিনে আমাদের নেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে দিলেন না সেটা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই। দেশে একদলীয় শাসন চলছে।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের আজ এখানে আটকিয়ে রাখা হলো। আমাদের যদি জেল গেটে যেতে দেওয়া হতো কারা কর্তৃপক্ষ বলতে পারতো আমরা অনুমতি পাবো কি পাবো না। এখানে পুলিশ কর্তৃপক্ষ আমাদের রাস্তায় আটকিয়ে দিলেন- এটা দুর্ভাগ্যজনক।
মির্জা আব্বাস বলেন, ঈদের দিন আমাদের দেখা করতে না দিয়ে অবিচার করা হলো।
কারাগারের সামনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী সদস্য তাবিথ আউয়াল, বিএনপি নেত্রী বিলকিস জাহান শিরিন, শিরিন সুলতানা, শাহরিন ইসলাম শায়লা, খায়রুন্নাহার, শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দিন দিদারসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। কর্মীরা এ সময়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে স্লোগান দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৮
এমএইচ/এএ