রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে প্রতিনিধি দলটি সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢোকার পর বৈঠক শুরু হয়। কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘অসুস্থতার’ কথা তুলে ধরে তার সুচিকিৎসার দাবি জানাতে আলোচনার জন্যই এ বৈঠকে বসেছেন বিএনপি নেতারা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে ফখরুলসহ বিএনপির স্থায়ী কমিটির ১০ সদস্য চিঠি দিলেও সচিবালয়ে গেছেন সাতজন। এদের মধ্যে ফখরুল ছাড়াও রয়েছেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান।
স্থায়ী কমিটির বাকিরা হলেন- ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এদের মধ্যে আমির খসরু পথে রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে একজন দেশের বাইরে এবং অন্যজন অসুস্থ।
রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেছিলেন, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। দীর্ঘদিন ধরেই তার বাম হাত ও বাম পায়ে ব্যথা। তিনি হাত-পা নড়াতে পারেন না। আমরা বারবার সরকারকে অনুরোধ করেছি তাকে বিশেষায়িত হাসপাতাল ইউনাইটেড অথবা অ্যাপোলোতে নিয়ে চিকিৎসা করানোর জন্য। কিন্তু সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না।
‘এর আগেও আমিসহ দলের তিনজন নেতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছিলাম। তিনি আমাদের সামনেই আইজি প্রিজনকে ডেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশে চলে যাওয়ায় সে ফাইল প্রধানমন্ত্রীর কাছে চলে যায়। কারণ কোনো মন্ত্রী বিদেশে গেলে সেই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থাকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তারপর আর এই ফাইল নড়েনি। সে অবস্থায়ই আছে। এবার আমরা আরও উচ্চ পর্যায়ের দলীয় নেতাদের নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যাবো। তাকে বলবো যেনো দ্রুত বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৮
আরএম/আরবি/এইচএ/