মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবীদের মৃত্যুবার্ষিকী পালান করা হয়। ২০১৭ সালের এই দিনে ৭২ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
প্রথমে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। পরে কার্যালয় থেকে শোক র্যালি বের হয়ে দিরাই পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থিত প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত স্মৃতি পরিষদের আহ্বায়ক পৌরসভার প্যানেল মেয়র বিশ্বজিৎ রায়ের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সদস্য হেলু মিয়ার পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- পৌরসভার মেয়র মোশাররফ মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান লিটন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ চৌধুরী, পৌর কাউন্সিলর সবুজ মিয়া, এবিএম মাসুম প্রদীপ, পঙ্কজ পুরকায়স্থ, যুবলীগ নেতা লালন মিয়া, শাহ আলম সরদার, মৃদুল চৌধুরী, মিজানুর রহমান, জুয়েল মিয়া, রায়হান মিয়া, আবুল কাসেম, শুয়েব চৌধুরী, কনিক চৌধুরী, ইকবাল সরদার প্রমুখ।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, হাওরের কাদা-জল মেখে রাজনৈতিক মঞ্চে দাপিয়ে বেড়িয়ে গেছেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। দেশের রাজনীতিতে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। তিনি ছিলেন সুনামগঞ্জের দূত। জেলার বাইরে গেলে সুনামগঞ্জের নাম উল্লেখ করলে সবাই বলতেন সুরঞ্জিত সেনের এলাকার লোক। প্রতিনিয়ত তিনি জনগণের স্বার্থে কথা বলে গেছেন।
সুরঞ্জিত সেন ছিলেন হাওর এলাকার অবহেলিত জগণের প্রতিনিধি। দেশের উন্নয়নে তার ভূমিকা ছিল ব্যাপক। দেশের ক্রান্তিকালে তিনি দলের পক্ষে কাজ করে গেছেন। তার মৃত্যুতে সারা দেশে তথা সুনামগঞ্জের মানুষের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করা সবার জন্য কঠিন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সমাধিতে আরও শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে- দিরাই প্রেসক্লাব, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মহিলা কলেজ।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করেন। সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে এলএলবি করার পর আইন পেশায় যুক্ত হন। ছাত্রজীবনে ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের ভিপি প্রার্থী হয়েছিলেন। ১৯৬৭ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) পিকিং ও মস্কো ধারায় দুই ভাগ হলে সুরঞ্জিত অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের নেতৃত্বাধীন অংশে যোগ দেন। ১৯৭০-এর নির্বাচনে ন্যাপ থেকে বিজয়ী হন। পরে ন্যাপের ভাঙনের পর গণতন্ত্রী পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৬ ও ১৯৯১- এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে জয়ী হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৯
জিপি