রোববার (০৭ জুলাই) সাপ্তাহিক কর্মদিবসের প্রথম দিনের সকাল থেকেই রাজধানীর গণপরিবহন ছিল স্বাভাবিক। গণপরিবহনগুলোতে ছিল কর্মমুখী মানুষের ভিড়।
সরেজমিনে রাজধানীর শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, সাইন্সল্যাব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহবাগ ও কাকরাইল এলাকায় যানববাহনের উপস্থিতি রয়েছে স্বাভাবিক দিনের মতোই।
শাহবাগ ও পল্টন এলাকায় বাম জোটের নেতা-কর্মীদের হরতালের সমর্থনে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। তবে হরতালের সমর্থন দেওয়া বিএনপি ও গণফোরামের কাউকে মাঠে দেখা যায়নি।
শাহবাগ মোড়ে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের অবস্থানের ফলে চারদিকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, এ অবস্থানকে ঘিরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। যেকোনো অপতৎপরতা রোধে প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের সাঁজোয়া যান ও জলকামান।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বাংলানিউজকে বলেন, হরতালকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
তিনি বলেন, সড়কে অবস্থান নেওয়া হরতাল সমর্থনকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সড়ক ছেড়ে দিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সড়ক আটকে জনগণের ভোগান্তি না করার জন্য তাদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
হরতালের সমর্থক সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নেতা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সরকার অবৈধ গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করতে পারছে না। কিন্তু তারা গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে, এতে লাভ কার? গ্যাসের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের ওপর জুলুম করা হচ্ছে। এর ফলে বাড়ি ভাড়া বাড়বে, বিদ্যুতের দাম বাড়বে। এছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে যাবে।
গ্যাসের দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৯
পিএম/আরবি/