শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দর সেন্ট্রাল খেয়াঘাটের ময়মনসিংহ পট্টিতে এরশাদের চেহলাম উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, সব রাজনৈতিক দলের বাধা ও নিষেধ উপেক্ষা করেও পল্লীবন্ধু উপজেলা পদ্ধতি সৃষ্টি করেছেন।
তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলের বিরোধীতার মুখেও জাতিসংঘে সৈন্য পাঠিয়েছিলেন এরশাদ। এখন শুধু সেনাবাহিনী নয়, বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যরাও জাতিসংঘ মিশনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখছে। দেশের রাজনীতিতে অসাধারণ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন পল্লীবন্ধু। পল্লীবন্ধুর জানাজায় লাখো মানুষের ঢল প্রমাণ করেছে, তার অসীম জনপ্রিয়তা।
সভায় জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সারা জীবন মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করেছেন। খুব অল্প সময়ে তিনি ব্যাপক উন্নয়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। পল্লীবন্ধুর দরদী মন সব সময় দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ছিল। তিনি সব সময় দেশকে গড়তে স্বপ্ন দেখতেন। আমরা পল্লীবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন করতে কাজ করে যাব। পল্লীবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেছেন রওশন এরশাদ।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাপার মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, জাপাতে কোনো বিভেদ নেই। জাপা এখন আরও শক্তিশালী। যারা জাপা ও পল্লীবন্ধুকে ভালোবাসেনি, তারাই এখন জাপাতে বিভেদ খুঁজছে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম এমপি, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা।
অনুষ্ঠানে পল্লীবন্ধুর ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ ও মিসেস সাদ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৯
এসএমএকে/আরবি/