সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরের সেন্ট্রাল রোডের জাতীয় পার্টির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের জীবনের নিরাপত্তা ও সবার প্রতি সম্মান দেখিয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ইয়াসীর বলেন, ‘জাতীয় পার্টি করতে গিয়ে আমি অনেকবার মৃত্যুর মুখে পতিত হয়েছি।
ইয়াসীর বলেন, ‘আমিতো নিজের ইচ্ছায় নির্বাচন করতে চাইনি। আমারতো টাকা-পয়সা নেই। নির্বাচন করলে কিভাবে জিতবো। তাই নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছি। আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। হয়তো আমাকে দল থেকে বের করে দেওয়া হবে। আমি এরশাদ স্যারকে ভালোবেসে এ দলে এসেছিলাম। কর্মী থেকে আপনাদের নেতা হয়েছি। তারপরও কর্মীদের নিয়েই থাকতে চাই। ’
জাপার কেন্দ্রীয় এ নেতা বলেন, দলের নেতা-কর্মীরাই নির্বাচন করার জন্য আমাকে উৎসাহিত করেছিলেন। অটোশ্রমিক, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা, হকার্স সমিতি, হিন্দু সম্প্রদায় নেতারাসহ বিভিন্ন সংগঠন থেকে আমাকে নির্বাচনে অংশ নিতে বলা হয়েছিলো। আমি সবার ভালোবাসা ও উৎসাহ নিয়েই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করি। সেই মোতাবেক মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় দলের নীতিনির্ধারকরা আমাকে মূল্যায়ন করেননি। ’
শূন্য ঘোষিত রংপুর-৩ আসনে উপ-নির্বাচনের জন্য গত ১ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, তা বাছাই হবে ১১ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ সেপ্টেম্বর। এর ১৮ দিন পর ৫ অক্টোবর ভোটগ্রহণ হবে।
রংপুর সদর উপজেলা ও সিটি করপোরেশন ৯ থেকে ৩৩নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ আসনের মোট ভোটার ৪ লাখ ৪২ হাজার ৭২জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২১ হাজার ৩১০ জন এবং ২ লাখ ২০ হাজার ৭৬২ জন নারী ভোটার। ১৭৫টি ভোটকেন্দ্র ইভিএমের মাধ্যমে এখানে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি নিয়েছে কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৯
ওএইচ/