রোববার (১৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেনামে শিবির-ছাত্রদল সক্রিয় হয়ে বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বুয়েটে ছাত্র হত্যার ঘটনাকে অত্যন্ত নিন্দনীয়, ন্যক্কারজনক ও নৃশংস উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, আমরা প্রথম থেকেই এ ঘটনার প্রতিবাদ করেছি।
ছাত্রদের আবেগ ও প্রতিবাদের সঙ্গে একমত পোষণ করে মন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি এ ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না হয় সেজন্য এই প্রতিবাদ অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করছে ও করবে।
আন্দোলনে কারা আছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রশ্ন হচ্ছে দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার পর কেন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা?
‘আমরা লক্ষ্য করছি, ছাত্রদের আবেগ-অনুভূতি পুঁজি করে একটি মহল বিশেষত বিএনপি ও তাদের মিত্ররা, বাংলাদেশে একটি মহল আছে যারা দেশ অস্থিতিশীল হলে ফায়দা লুটতে পারে, তারা সবাই মিলে এই ঘটনাকে পুঁজি করে ছাত্র অঙ্গনকে অশান্ত রেখে, দেশকে অশান্ত করার দূরভিসন্ধি থেকে ছাত্রদের মধ্যে তাদের এজেন্ট ঢুকিয়ে দিয়েছে। যে কারণে দাবি মেনে নেওয়ার পরও আন্দোলন। ’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনা পুঁজি করে অনেকে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। সেখানে আমরা লক্ষ্য করছি শিবির সক্রিয় হয়েছে, ছাত্রদল সক্রিয় হয়েছে। স্বনামে নয় বেমানে সক্রিয় হয়েছে, সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। তারা বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
ফাহাদ হত্যাকে পুঁজি করে যাতে কেউ রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।
ছাত্ররাজনীতি প্রসঙ্গ
বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাময়িকভাবে যেটি বন্ধ করেছে, সেটি পরিস্থিতি উত্তরণে সহায়ক হবে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। তবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে সেটির নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তবে এটি একান্তই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ব্যাপার।
দেশে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার দাবি অমূলক উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সমস্ত অর্জনের সঙ্গে ছাত্র সংগঠনগুলোর ভূমিকা জড়িয়ে আছে। আজ যারা দেশে প্রতিষ্ঠিত নেতা, তাদের বেশিরভাগই এসেছেন ছাত্ররাজনীতি থেকে। ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার জন্য কেউ কেউ যে বিশেষজ্ঞ মত প্রকাশ করছেন, তাদের আসলে উদ্দেশ্য ভালো না। সুতরাং, সেটি হওয়া কোনোভাবেই সমীচীন হবে বলে মনে করি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ