সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে আটোয়ারী উপজেলায় জেএসসি পরীক্ষা শেষে আটোয়ারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত হলেন আটোয়ারী উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান গোলাপের স্ত্রী রোজিনা আক্তার রোজি।
জানা যায়, সোমবার আটোয়ারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের এক নম্বর কক্ষে ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালে পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করছিলেন রাধানগর হাজী শাহার আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোকলেছার রহমানসহ তিন জন। পরীক্ষার শেষ ঘণ্টা বাজলে কক্ষ পরিদর্শকরা সব পরীক্ষার্থীর খাতা নিয়ে নেন। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান গোলাপের মেয়ে কক্ষ পরিদর্শক মোকলেছার রহমানের কাছে আরও কিছু সময় বাড়িয়ে দেওয়ার দাবি করে।
কিন্তু সময় না দেওয়ায় ওই পরীক্ষার্থী কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে তার মা রোজিনা আক্তার রোজির কাছে অভিযোগ করেন। মেয়ের অভিযোগ শুনেই পরীক্ষা কক্ষে ঢুকে মোকলেছার রহমানকে মারধর শুরু করেন রোজিনা। পরে অন্য শিক্ষকরা এগিয়ে এসে মোকলেছারকে উদ্ধার করে আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এদিকে ঘটনার পরপরই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ওই কেন্দ্রে গিয়ে অবস্থান নিয়ে শিক্ষককে মারধর ও লাঞ্ছিত করার ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।
ভুক্তভোগী শিক্ষক মোকলেছার রহমান বাংলানিউজকে জানান, পরীক্ষার সময় শেষে কয়েক মার্কের উত্তর করা বাকি আছে বলে আমার কাছে বাড়তি সময় দাবি করে ওই ছাত্রী। আমি সময় না দেওয়ায় পরে সে বেরিয়ে যায়। হঠাৎ ওই ছাত্রীর মা এসে আমাকে মারধর ও লাঞ্ছিত করে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান গোলাপ বাংলানিউজকে বলেন, আমার মেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল। আমার মেয়েকে পুরো তিন ঘণ্টা ওই শিক্ষক মানসিকভাবে হয়রানি করেছেন। পরীক্ষা শেষে আমার মেয়ে কান্না করে তার মাকে বিষয়টি জানালে তিনি ওই শিক্ষককে বকাঝকা করেন। তবে তাকে কোনো মারধর করা হয়নি। এটি মিথ্যা অভিযোগ।
আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ মাহমুদ হাসান বাংলানিউজকে জানান, আমরা বিষয়টি নিয়ে বসেছি। উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
এইচএ/