শনিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল ইসলাম সরকার ইউনিয়নটির গোয়ালপাড়া গ্রামে স্বপনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এ চাল জব্পদ করেন। তার সঙ্গে গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম ও উপজেলার কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক শিশির কুমার কর্মকার উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও নাজমুল ইসলাম সরকার বাংলানিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে সম্প্রতি দুস্থদের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হলে ওএমএসের ডিলার আলাল উদ্দিন স্বপন ১৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পান। রেজিস্ট্রারে তিনি দেখিয়েছেন, মাথাপিছু পাঁচ কেজি করে ৪৯২ জনকে ১০ টাকা দরে চাল দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু অভিযোগ পাওয়া গেছে, তিনি প্রায় ২০০ ব্যক্তির কাছ থেকে ওএমএসের কার্ড কেড়ে নিয়েছেন। আবার রেজিস্ট্রারে জাল স্বাক্ষর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়া রেজিস্ট্রারে অনেকের স্বাক্ষরই নেই। অভিযোগ পাওয়া যায়, ডিলার স্বপন ১০ টাকা কেজি দরের চাল আত্মসাৎ করেছেন।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় একটি ঘরে ৬৭ বস্তা চাল পাওয়া যায়। প্রতিটি বস্তায় ৫০ কেজি চাল। সরকারি বস্তা থেকে বের করে চালগুলো সাধারণ বস্তায় ভরে রাখা হয়েছিল। পরে আওয়ামী লীগ নেতা স্বপনকে আটক করা হয়েছে।
ইউএনও বলেন, চালগুলো গুদামে থাকার কথা। গুদামের সামনে থাকার কথা সাইনবোর্ড। কিন্তু কিছুই নেই। চাল ছিল বাড়িতে। তার বাড়িতে প্রায় শতাধিক ব্যক্তির কার্ড পাওয়া গেছে। যেগুলো বিতরণের কথা ছিল।
এদিকে, অভিযুক্ত স্বপন চাল আত্মসাতের অভিযোগ স্বীকার করে বলেছেন, একজন নেতার নির্দেশেই এ কাজ করেছেন তিনি।
রাত ৮টার দিকে ইউএনও বলেন, আমরা এখনও ঘটনাস্থলেই আছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার বিরুদ্ধে গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা করা হবে। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ওই মামলার বাদী হবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২০
এসএস/টিএ