ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

পর্দা উঠলো এশিয়া এলপিজি সামিটের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭
পর্দা উঠলো এশিয়া এলপিজি সামিটের চতুর্থ এশিয়া এলপিজি সামিটের উদ্বোধন/ছবি: রানা

ঢাকা: ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হলো চতুর্থ এশিয়া এলপিজি সামিট-২০১৭। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ সামিটের উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জ্বালানি বিভাগের সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরী, এলপিজি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রাইভেট খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান, ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী।

বসুন্ধরার মতো জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানসহ দেশি ও বিদেশি ৬৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে এই সামিটে, যারা এলপি গ্যাস বাজারজাত, সিলিন্ডার ও অন্যান্য খুচরা যন্ত্রাংশের উৎপাদক হিসেবে কাজ করছে।

প্রতি দিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সামিট উন্মুক্ত থাকবে।
উদ্বোধনী ‍অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ/ছবি: রানা
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এক সময় বলা হয়েছে বাংলাদেশ গ্যাসের উপরে ভাসছে। এইটা ছিল গ্যাস রপ্তানি করার জন্য বিএনপি-জামায়াত জোটের স্টান্ডবাজি। কোনো সমীক্ষা ছাড়াই এমন কথা বলা হয়েছিল। প্রাকৃতিক গ্যাস মূল্যবান সম্পদ। আমরা এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাই। এ জন্য শুধু শিল্পে এর ব্যবহার থাকবে। অন্যান্য খাতে সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। এ জন্য আমরা এলপিজির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি তিন বছর সময় চেয়েছিলাম সারাদেশে এলপিজি পৌঁছে দেওয়ার জন্য। এর মধ্যে এক বছর গেছে। আশা করছি, আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশের সত্তরভাগ লোকজন এলপি গ্যাসের আওতায় চলে আসবে।

নসরুল হামিদ বলেন, এলপি গ্যাস এলএনজির চেয়ে সাশ্রয়ী। আমরা গৃহস্থালির পাশাপাশি বিদ্যুৎ ‍উৎপাদন ও শিল্পে এলপিজি ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়েছি।
ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় এলপিজি সামিট/ছবি: রানাসাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে গভীর সমুদ্র বন্দর নেই। লাইটারেজে এলপিজি আনতে হয়। এতে করে পরিবহন খরচ অনেক বেড়ে যায়। গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ শেষ হলে ৩০ শতাংশ দাম কমে আসবে।
আগামী দুই বছরের মধ্যে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ শেষ হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।

কোম্পানি ভেদে দামের কমবেশি প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী দু’ মাসের মধ্যেই এই নীতিমালা চলে আসবে। তখন এই তারতম্য থাকবে না।

সরকার এলপিজিকে নিরাপদ, সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী মূলে জনগণের হাতে পৌঁছে দিতে চায় বলে মন্তব্য করেন নসরুল হামিদ।

তিন দিনব্যাপী এই এলপিজি সামিটের আয়োজন করেছে আন্তর্জাতিক এলপিজি অ্যাসোসিয়েশন, অল ইভেন্ট গ্রুপ-সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশের গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড। এর আগে তিনটি আসর বিভিন্ন দেশের মাটিতে হলেও এবারই প্রথম বাংলাদেশে এই সামিট আনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭/আপডেট: ১৩১৫ ঘণ্টা
এসআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।