সচিবালয়ে বুধবার সকালে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই জানিয়ে আসছি যে, বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ড সার্ভিসিংয়ে যাবে। ঈদের আগে থেকেই আমরা সবাইকে জানিয়ে আসছি।
‘এটি খুব বেশিক্ষণ না, ২৪ ঘণ্টা। গত রাত ১২টা থেকে আজকের রাত ১২টায় শেষ হবে’।
সিএনজি পাম্প বন্ধ থাকায় সমস্যা হওয়ার প্রশ্নে বিপু বলেন, ‘গ্যাসের জন্য আমার মনে হয়, খুব সাময়িক (সমস্যা)। হয়তো সিএনজি পাম্পগুলো গ্যাস দিতে পারবে না। কিন্তু যারা গাড়িতে সিএনজি ব্যবহার করেন, তারা পেট্রোল ও তেলও ব্যবহার করেন। তারা তেল নিয়ে চলতে পারবেন, সমস্যা হবে না’।
বিপু বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় চিন্তা ছিলো, পাওয়ার প্লান্ট নিয়ে। আমি দেখেছি যে, পাওয়ার প্লান্টের সমস্যা হচ্ছে না। এখন যে অবস্থায় আছে, সেখানে প্রায় ৫০০-৬০০ এমএমসিএফ কমে গেছে। কিন্তু আমরা স্ট্যাবল অবস্থায় আছি। সব জায়গায় রীতিমতো বিদ্যুৎ দিতে পারছি। কারণ, আমাদের হাতে রিজার্ভ ছিলো। সেটি দিয়ে মোটামুটি কাভার করে ফেলেছি’।
গত মাসে ১০ দিনের মতো পাওয়ার কাট হয়ে গিয়েছিলো জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মেঘনা ঘাটে সমস্যার কারণে ৪০০ মেগাওয়াট বিতরণ করতে পারছি না’।
সব জায়গায় ভালো অবস্থায় যেতে আরও ২-৩ বছর লাগবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য অর্থ দরকার। শেখ হাসিনার সরকার অর্থ দিচ্ছে, আমরা কাজ করছি’।
নসরুল হামিদ বিপু আরও বলেন, ‘গ্রামেও ভালো অবস্থা যাচ্ছে। পুরনো লাইনগুলো পরিবর্তন করতে হচ্ছে। রাঙামাটিতে ধসের কারণে প্রায় আড়াইশ’ ট্রান্সফরমার বিকল হয়েছে। কক্সবাজারে ঝড় এলো। সব মিলিয়ে এ বছর ১১ হাজার ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে গেছে। সেগুলো পাল্টাতে হচ্ছে’।
‘প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিদ্যুতের বড় সমস্যা হচ্ছে। সাতশ’র বেশি নদীর ওপর দিয়ে বিদ্যুৎ যাচ্ছে, সেখানে বিকল হতে পারে। নদীর নিচ দিয়ে যদি লাইন যায়, তাহলেও কাটা পড়তে পারে। সমস্ত কিছু মাথায় নিয়ে এগোতে হচ্ছে’।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
এমআইএইচ/এএসআর