ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

থাইল্যান্ড

প্রত্যয় নিয়ে স্বপ্নের সাগরে যেতে চায় নদী

জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৭
প্রত্যয় নিয়ে স্বপ্নের সাগরে যেতে চায় নদী নুদরাদ নাওয়ার নদী

ব্যাংকক (থাইল্যান্ড থেকে): দেশে ছিলেন ধনীর দুলালী। এখানে পরিচয়টা ভিন্ন। আত্মপ্রত্যয়ী, আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন তার। নিজের মূল্যবোধকে সঙ্গী করে একাকী নেমেছেন নতুন এক সংগ্রামে। তিনি নুদরাদ নাওয়ার নদী (২৩)।

নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ থেকে সদ্য এসেছেন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডে। গেলো বছরের ডিসেম্বরে স্পেশাল এফেক্স মেকাপ আর্টিস্ট্রি বিষয়ে থাইল্যান্ডে পড়তে আসেন নদী।

এরপর যোগ দেন রাজধানী ব্যাংককের খ্যাতনামা একটি ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল কোম্পানিতে।

নদীর বাবা জহিরুল আলিম ছিলেন নৌ বাহিনীর কমান্ডার। এখন ঢাকা ক্লাবের সিইও এবং সেক্রেটারি। বাবার কর্মস্থলের সুবাদে জন্ম চট্রগ্রামে। তারপর ঢাকাতেই বেড়ে ওঠা। দুই বোনের মধ্যে বড় নদী। ‘ও’ লেভেল, ‘এ’ লেভেল শেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শান্তা মারিয়ামে পড়েছেন ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে। দেশেও ব্যবসা করেছেন ওয়েডিং প্ল্যানিং ও ট্রান্সপোর্টের। কাজ করেছেন কল সেন্টারেও।

চলচ্চিত্রের শুটিংয়ে ভয়ংকর দৃশ্য ফুটিয়ে তুলতে যে ধরনের মেকআপ প্রয়োজন হয় সেই স্পেশাল এফেক্স মেকাপ আর্টিস্ট্রি বিষয়ে পড়তে চলে আসেন থাইল্যান্ডে। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান মেকআপ একাডেমি থেকে এ বিষয়ে শর্টকোর্স করেই সপ্তাহ খানেক আগে যোগ দেন ব্যাংককের ব্যস্ততম সুকম্ভিত এলাকার ১৩ নম্বর সুইট বিল্ডিংয়ে ‘গাইডলাইন হলিডেজ’ নামের ট্যুরিজম কোম্পানিতে।

দেশে হাজারো সম্ভাবনা থাকতে একা এই ভিন দেশে কেন? উত্তরে নদী বলেন, “ওখানে আমাদের সবই আছে। আছে পারিবারিক পরিচিতি। কিন্তু এখানে আমাকে সেভাবে কেউ চেনে না। এখান থেকেই আত্মপ্রত্যয় নিয়ে শূন্য থেকে শুরু করতে চাই আর এটাই আমার চ্যালেঞ্জ।

নুদরাদ নাওয়ার নদীকে এখানে সামলাতে হয় ব্যবসা, চিকিৎসা বা বেড়ানোর উদ্দেশে আসা পর্যটকদের। তাদের প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করতে হোটেলের বুকিং থেকে ট্যুর প্ল্যান সবকিছুই করতে হয় তাকে।

গাইডলাইন হলিডেজ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, “নদীর আত্মপ্রত্যয়ই তাকে এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। তার দূরদৃষ্টি আছে। সে সিরিয়াসলি কাজ করলে সফলতা অনিবার্য। এখানে সে সফল হলে সেটা সত্যিকারের ইতিহাস তৈরি করবে।

এত অল্প বয়সে এত দৃঢ়তার রহস্য কী? জবাবে নুদরাদ নাওয়ার নদী বলেন, “এক কথায় সততা, সাহস আর পারিবারিক মূল্যবোধ। কারণ, আমার দাদাও অনেক ধনী মানুষ ছিলেন। তবে পারিবারিক ঐতিহ্য ছিলো স্বনির্ভর হওয়ার। আমার বাবা নিজের চেষ্টায় হয়েছেন। আমিও বড় হয়েছি তেমন মূল্যবোধে। ছোট বেলা থেকে এ ব্যাপারে পেয়েছি পরিবারের সমর্থন। ”

“আমার এখন লক্ষ্য স্বতন্ত্রভাবে সংগ্রাম করে নিজেকে এগিয়ে নেওয়া। নিজের মেধা দিয়ে শীর্ষে নিতে চাই গাইডলাইন হলিডেজ'কে। পর্যটন সেবায় তুলে ধরতে চাই দৃষ্টান্ত। এভাবেই ধাপে ধাপে এগিয়ে নিতে চাই মনের মাঝে লালন করা স্বপ্নগুলোকে”, জানান নুদরাদ নাওয়ার নদী।

** আকমার আরীবের মনে বাজে ‘আমার সোনার বাংলা’

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৭
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।