পুলিশি অভিযানে বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিক আটক হলেও, এর মধ্যে বেশির ভাগই বাংলাদেশি বলে জানা যায়। শনিবার (০১ জুলাই) সকালে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৩৯ জন শ্রমিক আটকের তথ্য জানাচ্ছে দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম; এর মধ্যে ৫১ জনের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি মুস্তাফার আলী। তারা প্রথমে জালান যাটি কিরির আবাসনে অভিযান চালান। এখন পর্যন্ত যাদের ধরা হয়েছে তাদের অধিকাংশই ফার্নিচার ও প্লাস্টিক কারখানার শ্রমিক।
সরকার ঘোষিত ই-কার্ড বা এনফোর্সমেন্ট কার্ড আবেদন করার সময়সীমা শুক্রবার (৩০ জুন) শেষ হওয়ার বিষয়টি এক বিবৃতিতে আগেই জানিয়েছিল দেশটির পুলিশ প্রশাসন। সে নিয়ম মেনে সর্বমোট ১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৮০ জন শ্রমিক ই-কার্ডের জন্য আবেদন করেন; যার মধ্যে ১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৬টি কার্ড সরবরাহ করা হয়েছে।
দেশটির অভিবাসন মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের তথ্যানুযায়ী আবেদনকারী শ্রমিকের হার মাত্র ২৩ শতাংশ, যেখানে প্রায় ৬ লাখ অবৈধ শ্রমিক অবস্থান করছেন।
দাতুক সেরি মুস্তাফার আলী ইতোপূর্বে বলেন, আমি বিস্মিত নই, বরং হতাশ সেই সব নিয়োগকারীদের ওপর যারা এখনও তাদের কর্মচারীদের জন্য আবেদন করেননি। যা গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বারবার অনুরোধ করার পরও যারা সুযোগ কাজে লাগাননি, অভিযানের পর সময়সীমা আর বাড়ানো হবে না। পুলিশ এবং ইমিগ্রেশন আইন ৫৬(১), ৫৫(বি) ও ১৯৫৯/১৯৬৩ অনুযায়ী কর্মচারী, নিয়োগকারী এবং স্টুডেন্ট ভিসায় নিয়োগকারীদের ধরা হবে।
মায়ানমার থেকে আসা এক শ্রমিক জানান, তিনি সময়সীমা সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। তিনি বলেন, আমার মালিক কার্ড সংগ্রহ করতে গেছেন। তবে সবাই এখনও কার্ড পাননি; এর মধ্যেই ধরে ফেলা হলো।
জানা যায়, এরই মধ্যে কার্ড জালিয়াতির অভিযোগে কিছু এজেন্ট গ্রুপকেও চিহ্নিত করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের মধ্য থেকেও ধরা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৭
জিওয়াই/আইএ