সাবেক জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি) অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার এজাহার গ্রহণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রাতে হাইকোর্টের নির্দেশে ১২ দিন পর কুড়িগ্রাম সদর থানায় মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের অবকাশকালীন দ্বৈত বেঞ্চে রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের দাখিল করা অভিযোগটি মঙ্গলবার রাতে নথিভুক্ত করেন ওসি মাহফুজার রহমান।
মামলার আসামিরা হলেন কুড়িগ্রাম জেলা থেকে প্রত্যাহার হওয়া সাবেক জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) নাজিম উদ্দীন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা, সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) এসএম রাহাতুল ইসলাম ও অজ্ঞাতপরিচয় ৩৫-৪০ জন সরকারি কর্মচারী।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান বাংলানিউজকে জানান, হাইকোর্টের আদেশের কপি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। যেহেতু সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের মামলাটি একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ছিল। আসামিরা অপরাপর সরকারি উচ্চ পদস্থ চাকরিজীবী। সেহেতু অধিকতর গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আদালতের প্রতি আমার আস্থা ও বিশ্বাস আছে। আমি আদালতে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেছিলাম। সরকার ও আদালত আমার ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে যথেষ্ট সচেষ্ট। তারই অংশ হিসেবে এই মামলা রেকর্ড করা হলো। এখন অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করে দৃষ্টান্তমুলক শান্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কারন আমি ন্যায়বিচার পেলে এটি সমাজে একটি নজির হয়ে থাকে।
এর আগে কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ক্রসফায়ারে দেওয়ার হুমকি ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্যাতন, বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়ার ঘটনায় গত ১৯ মার্চ অভিযোগটি থানায় গ্রহণ করলেও নথিভুক্ত করা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২০
এফইএস/এএটি