নিজের ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ টিম কে টি-টোয়েন্টি ইন্টারন্যাশনাল এ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য অনেক গর্বের। আমি বিশ্বাস করি বর্তমান দলটি একটি ভাল দল এবং দলে কিছু উদীয়মান খেলোয়াড় আছে।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি মনে করি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর নেয়ার জন্য এটাই আমার উপযুক্ত সময় যাতে অনেক তরুণ উদীয়মান ক্রিকেটার তাদের প্রতিভা তুলে ধরতে পারে এবং বিসিবি তাদেরকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারে। আমি বাংলাদেশ এর টি-টোয়েন্টি টিম এর নতুন অধিনায়ককে আগাম অভিনন্দন জানাই এবং আমি নিশ্চিত বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা সময় সামনে আসবে। শীঘ্রই আবার দেখা হবে। সকলের জন্য আমার আন্তরিক ভালবাসা। ’
বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা আবিষ্কার মাশরাফি বিন মর্তুজা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস করতে নেমে অবসরের ঘোষণা দেন মাশরাফি নিজেই। ফলে, এটাই ম্যাশের শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
মাশরাফির পর সাকিব আর তামিম টাইগারদের দলপতির তালিকায় এগিয়ে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও বেশ ভালো অধিনায়ক। তিনিও বোর্ডের চিন্তাতে থাকবেন।
২০০১ সালে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেন মাশরাফি। সে বছর ওয়ানডে ও টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হয় তার। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সফলতা ও ব্যর্থতার রাজসাক্ষী তিনি। গত দেড়-দুই বছর ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেট তার হাত ধরেই বদলে গেছে। অভিষেকের পর প্রায় ১৬ বছর ধরে খেলেছেন দাপটের সঙ্গেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, ৪ এপ্রিল ২০১৭
এইচএল/এমআরপি/এমএমএস