ব্রাজিলের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিশ্বকাপজয়ী এই দল প্রায় ৬০ বছর পর বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে জমজমাট আসরে খেলার সুযোগ হারালো এবার। সবশেষ ২০০৬ সালেই দলটি ‘হট ফেভারিট’ না হয়েও নান্দনিক ফুটবল খেলে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছিল।
এই অবস্থায় নিজেদের মাঠে ফিরতি লেগে ইতালির সামনে সমীকরণ দাঁড়ায়, বিশ্বকাপে যেতে হলে ২-০ গোলে জিততে হবে। কিন্তু সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাতে সফরের গোলটিও শোধ করতে পারলেন না পিয়েরো ভেনচুরার শিষ্যরা। প্রথমার্ধ কী, শেষার্ধ, পুরো ম্যাচেই আক্রমণ শানিয়েও গোলের দেখা পেলো না ইতালি।
সুইডিশদের রক্ষণ দেওয়াল বারবার ফিরিয়ে দিয়েছে ফ্লোরেনজি-ইমোবিল-গাবিয়াদিনিদের আক্রমণ। গোলবার লক্ষ্য করে মোট ৬টি শট নিলেও জালের দেখা পায়নি একটিও। পুরো ম্যাচে ৭৭ ভাগ বল দখল রেখেও ম্যাচ শেষে কাঁদতে হয়েছে বুফন-কিয়েল্লিনি-বোনুচ্চিদেদের।
এর আগে ১৯৫৮ সালে বিশ্বকাপে জায়গা করতে ব্যর্থ হয় নান্দনিক ফুটবলের দল ইতালি। এতোগুলো বছর পর এমন ব্যর্থতার ভার মাথায় নিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে সরে দাঁড়ালেন বিশ্বের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক এবং ইতালির অধিনায়ক জিয়ানলুইজি বুফন।
এদিকে, প্রথম ম্যাচ জিতে যাওয়ার ফিরতি লেগের ম্যাচে ইতালিকে ঠেকিয়ে দেওয়ায় প্রায় এক যুগ পর বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়ে গেল সুইডেন। সবশেষ ২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপে খেলেছিল জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের দেশ।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
এইচএ/
** ‘বিদায়’ বলে কাঁদলেন বুফন