২৯০ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১০ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় ইংল্যান্ড। দলীয় ৬০ রানে ফিরে যান ৪০ বলে ৩৬ রান করে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়া জো রুটও।
মরগানের বিদায়ের পর জস বাটলারকে নিয়ে ফের ইনিংস মেরামত শুরু করেন স্টোকস। দুজনে মিলে যোগ করেন ৬৯ রান। দলীয় ২২৮ রানে আউট হওয়ার আগে স্টোকসের ব্যাট থেকে আসে ৮৫ বলে ৭৯ রান। এই ইনিংসটি তিনি ২ চার ও ২ ছক্কায় সাজিয়েছেন। দুই শীর্ষ রান সংগ্রাহকের বিদায়ের পর ৩৩ বলে ৩৪ রান করা বাটলার ছিলেন শেষ ভরসা। কিন্তু দলীয় ২৩৩ রানে তার বিদায়ের পর দ্রুতই গুটিতে যায় ইংলিশদের ইনিংস।
বল হাতে ৯ ওভারে ৪৬ রান খরচে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন কোটরেল। ৩ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন হোল্ডার আর ১টি করে উইকেট পেয়েছেন ওশানে টমাস ও কার্লোস ব্র্যাথওয়েট।
শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বার্বাডোজে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮৩ বলে ১০৪ রানের অসাধারণ এক ইনিংস উপহার দেন মাত্র ২২তম ওয়ানডে খেলতে নামা হেটমায়ার। আর তাতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় উইন্ডিজ। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে কিউইদের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হওয়া হেটমায়ারের এটি ওয়ানডেতে চতুর্থ সেঞ্চুরি।
আগের ম্যাচেই বড় সংগ্রহকে পার করে ইতিহাস গড়েছিল ইংলিশরা। ফলে ২৯০ রানের টার্গেট তেমন কিছু নয় এই দলটির কাছে। কিন্তু এই টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২৬৩ রানেই থামেন রুট-মরগানরা।
গত ম্যাচের চেয়ে এই ম্যাচে আগ্রাসী ব্যাটিং দিয়ে শুরু করেন উইন্ডিজ ওপেনার। তবে আজ মেরে খেলার চেয়ে ২ আর ৩ নেওয়ার দিকেই তার ঝোঁক ছিল বেশি। তবে সুযোগ পেলেই বল বাউন্ডারি ছাড়া করতে ভুল করেননি। ৬৩ বলে ৫০ রানের ইনিংসে ৪টি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি, যার ১টি স্টেডিয়ামের সীমানা ছাড়িয়ে উধাও হয়ে যায়।
জন ক্যাম্পবেলের সঙ্গে ৬১ রানের জুটি গড়েন গেইল। তবে ব্যক্তিগত ২৩ রানে লিয়াম প্ল্যাংকেটের শর্ট বলে মঈন আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সিরিজের প্রথম ম্যাচে অভিষিক্ত ক্যাম্পবেল।
আগের ম্যাচে ৩৪তম ওভার পর্যন্ত আক্রমণে না আসা স্পিনার আদিল রশিদকে এদিন একটু আগেভাগেই আক্রমণে আনে ইংল্যান্ড। তাতে কাজও হয়। নিজের প্রথম ওভারে গেইলের বিপক্ষে বল করেও মাত্র ২ রান খরচ করার পর দ্বিতীয় ওভারেই দলকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন। তার লেগ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে সুইপ খেলতে গিয়ে নিজের অফ-স্ট্যাম্প খোয়ান গেইল।
ব্যক্তিগত ৩২ রানে একবার স্ট্যাম্পিং থেকে বেঁচে যাওয়া শাই হোপ অবশ্য আর এক রান যোগ হতেই বেন স্টোকসের বলে জনি বেয়ারস্টোর হাতে ধরা পড়েন। এরপর ফিল্ডার হিসেবে দারুণ ভুমিকা রাখেন রশিদ। টম কুরানের বলে শর্ট থার্ড ম্যানে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিতে দৌড় দেন হেটমায়ার। কিন্তু অপরপ্রান্তে ড্যারেন ব্র্যাভোকে সরাসরি থ্রোতে বিদায় করে দেন রশিদ।
জেসন হোল্ডারকে আরও একটি সরাসরি থ্রোতে রান আউট করে ফেরান জেসন রয়। এরপর ক্রিজে আসা শেলডন কোটরেল শুরু থেকে ধুঁকতে থাকেন। কিন্তু অপর প্রান্তে দলকে চাপ মুক্ত রাখেন হেটমায়ার। ধীরেসুস্থে ইনিংস মেরামতের পাশাপাশি মারার বল পেলেই সীমানা ছাড়া করেছেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান।
বেন স্টোকসের ফুল টসে বিশাল এক ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের সেঞ্চুরির কাছে পৌঁছে যান হেটমায়ার। ৯৮ রানে ব্যাটিং করা অবস্থায় স্টোকসের বলে ম্যাচে নিজের সপ্তম বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন তিনি।
ইংলিশ বোলারদের মধ্যে উড ২ উইকেট আর প্ল্যাংকেট, স্টোকস আর রশিদ ১টি করে উইকেট নেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
এমএইচএম