এর মধ্যে ৪৯ কেজিতে মহিলা ওজন শ্রেণিতে ৩টি রেকর্ড করেছেন মোল্লা সাবিরা সুলতানা। ৫৫ কেজি নারী ওজন শ্রেণিতে ৩টি রেকর্ড করেছেন ফুলপতি চাকমা এবং ৭১ কেজি নারী ওজন শ্রেণিতে একটি রেকর্ড মনিরা কাজীর।
৬১ কেজি পুরুষ ওজন শ্রেণিতে মোস্তাইন বিল্লা ৩টি রেকর্ড। ৬৭ কেজি পুরুষ ওজন শ্রেণিতে ৩টি রেকর্ড শেখ নাঈমুল ইসলামের, ৭৩ কেজি পুরুষ ওজন শ্রেণিতে একটি জাতীয় রেকর্ড মো. হামিদুল ইসলাম, ৮১ কেজি পুরুষ ওজন শ্রেণিতে ৩টি জাতীয় রেকর্ড সুমন চন্দ্র রায় এবং ৮৯ কেজি পুরুষ ওজন শ্রেণিতে একটি জাতীয় রেকর্ড মো. আব্দুল ওহাবের।
বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় জেলা ক্রীড়া সংস্থা এই প্রতিযোগিতার আয়োজনে বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) ও শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) এসব রেকর্ড গড়েন খেলোয়াড়রা।
দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) বিকেলে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান।
অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করার আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান বলেন, জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত খেলোয়াড়ররা এখানে তাদের ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছে। এটা ময়মনসিংহের জন্য অত্যন্ত গর্বের।
ক্রীড়া সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে সব সময় সহযোগিতা করতে জেলা প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী খেলাধূলায় সব সময় উৎসাহ দিয়ে থাকেন। আমাদের ক্রিকেট দল থেকে শুরু করে সব দল আন্তর্জাতিকভাবে যখন পুরস্কৃত হয় তখন তাদেরকে গণভবনে ডেকে এনে পুরস্কৃত ও সম্মানিত করেন প্রধানমন্ত্রী।
সাজ্জাদুল হাসান বলেন, ‘খেলোয়াড়দের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ স্নেহ রয়েছে। এই ভারোত্তলন প্রতিযোগিতায় যারা পুরস্কৃত হয়েছেন তারাও প্রধানমন্ত্রীর স্নেহের ছোঁয়া পেয়েছে। আমি তাদের সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বিজিবি পরিচালক লে. কর্নেল মো. নজরুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, ভারোত্তোলন ফেডারেশনের সহসভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) শহরের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন পার্কের বৈশাখী মঞ্চে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ২১টি দল হলো- ঢাকা আরামবাগ ক্লাব, ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থা, গাজীপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা, ময়মনসিংহ জেলা ক্রীড়া সংস্থা, কিশোরগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা, দিনাজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ভারোত্তোলন ক্লাব, নৈহাটি স্পোর্টিং ক্লাব, বিল্ডার্স জিম মিরপুর, ঢাকা, লালবাগ বডি বিল্ডিং ক্লাব, রাজশাহীর উচ্ছ্বাস যুব সংঘ, কুষ্টিয়া জিমনাস্টিক ক্লাব, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ জেল, বাংলাদেশ আনসার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বিজেএমসি, কুষ্টিয়া বৈদ্যনাথ দত্ত জিমনেসিয়াম, এরশাদনগর শরীরচর্চা ও ভারোত্তোলন ক্লাব ও নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থা।
এ প্রতিযোগিতায় পুরুষ ও নারী খেলোয়াড়ের সংখ্যা ১০২ ও ৩৬ জন। শনিবার (০৬ এপ্রিল) এ প্রতিযোগিতা শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৯
এমএএএম/এএটি