এক যুগের অধিক সময় ধরে বার্সাকে সার্ভিস দেওয়া মেসি বরাবরই দলের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত ছিলেন। তবে দুঃখের বিষয় এতদিন পরও তার বিকল্প হিসেবে কেউই গড়ে ওঠেনি।
বার্সার ইতিহাসে তিন সর্বোচ্চ দামি ফুটবলার (ট্রান্সফার ফি’র হিসেবে) ওসমানে দেম্বেলে, ফিলিপ্পে কৌতিনহো ও আঁতোয়া গ্রিজম্যান। কিন্তু তারা সেভাবে কাজে আসেননি। দেম্বেলে ও কৌতিনহো গত দু’বছর ধরে খেললেও সফলতা পাননি। অন্যদিকে গ্রিজম্যান মাত্রই দলের সঙ্গে যোগ দিলেও স্প্যানিশ মিডিয়াগুলো জানাচ্ছে, চলে যাওয়া নেইমারের শূন্যস্থানও পূরণ করতে পারবে না এই ফ্রেঞ্চ তারকা।
ব্রাজিলিয়ান তারকা কৌতিনহোকে অবশ্য ইতোমধ্যে ধারে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। শর্তানুযায়ী আগামী মৌসুমে পাকাপাকিভাবে তিনি বাভারিয়ানদের হয়েই খেলবেন। কিন্তু দেম্বেলের ব্যাপারে এখনও কিছু পরিস্কার হয়নি। কেননা প্রথম থেকেই এই ফরাসি স্ট্রাইকার ইনজুরি ও অনিয়মের সঙ্গে বসবাস করছেন।
২০১৭ সালে প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে ২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে নেইমার বার্সা ছাড়লে, আগমন ঘটে কৌতিনহো ও দেম্বেলের। তবে তারা কেউই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি এটা বলাই যায়।
বিশ্বকাপজয়ী দেম্বেলের স্কিল নিয়ে অবশ্য কোনো সন্দেহ নেই। বার্সার আগে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডে তার দারুণ পারফরম্যান্সই তাকে নেইমারের জায়গায় নিয়ে আসে। তবে ক্যাম্প ন্যু যেন তাকে আপন করতে পারেনি।
লিভারপুল থেকে আসা কৌতিনহো ১৪০ মিলিয়ন ইউরোতে বার্সা আসলে, সেটি সেসময় তাকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামি ফুটবলারের পরিণত করে। আর দেম্বেলে আসেন ১০৫ মিলিয়ন ইউরোতে। এই মৌসুমে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ থেকে গ্রিজম্যান এসেছেন ১২০ মিলিয়ন ইউরোতে। ইতোমধ্যে জেনিতে বিক্রি করে দেওয়া ম্যালকমকে বোর্দে থেকে নেওয়া হয়েছিল ৪১ মিলিয়ন ইউরোতে।
এই আক্রমণভাগের চার খেলোয়াড়ের মূল্য ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ হাজার ৭৩২ কোটি ৫৬ লাখ ৫৩ হাজার ৯২০) বেশি হলেও, পারফরম্যান্সের বিচারে তারা কেউই মেসির কাছে যেতে পারেননি। ফলে রয়ে যায় সেই মেসি-নির্ভরতা।
এমনটা বলা ভুল হবে যে, তারা বাজে খেলোয়াড়। এমনকি গ্রিজম্যানের সম্পর্কে এত আগাম বলাটাও ঠিক হবে না। তবে যদি বলা হয় মেসির সঙ্গে তার ব্যবধান কতটা, তাহলেই সব পরিস্কার হয়ে যাবে।
পেশির ইনজুরির কারণে প্রাক মৌসুমে যুক্তরাষ্ট্র সফর করতে পারেননি মেসি। সেই চোট বয়ে বেড়াচ্ছেন এখনও। বিলবাওয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ মিস করার পর এবার রিয়াল বেতিসের বিপক্ষেও থাকছেন না তিনি। তাইতো ২০০৮-০৯ মৌসুমের পর আসরের শুরুর দিকে টানা দুই ম্যাচে হারের শঙ্কাতেও রয়েছে বার্সা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
এমএমএস