পেরুকে সহজ প্রতিপক্ষ ধরেই হয়তো একাদশ সাজিয়েছিলেন ব্রাজিল কোচ তিতে। এজন্য একাদশে রাখা হয়নি নেইমার, দানি আলভেস, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, ফ্যাবিনহোর মতো তারকাদের।
ম্যাচের প্রথমার্ধে ব্রাজিলের আধিপত্য খর্ব করার সব চেষ্টাই করেছে পেরু। তাতে সাফল্যও এসেছে। বল দখল কিংবা গোলমুখে আক্রমণের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকলেও ব্রাজিলকে গোলহীন রাখতে সমর্থ হয় দলটি। মূলত রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলেই রিচার্লিসন, ফিরমিনোদের বঞ্চিত করেছেন আদভাদিকুলার দল। উল্টো দু’বার তো প্রায় গোলই করে ফেলেছিল পেরু। তবে তাদের আসল লক্ষ্য ছিল রক্ষণ অটুট রাখা, যাতে তারা পুরোপুরি সফল।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল পেতে মরিয়া ব্রাজিল বদলি হিসেবে মাঠে নামায় নেইমার, ফ্যাবিনহোকে। আর ব্রাজিলের জার্সিতে অভিষেক হয় রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুসের। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং ৮৫তম মিনিটে ব্রাজিলের গোলমুখ খুলতে সক্ষম হয় পেরু। ইয়তুনের ফ্রি-কিক থেকে বল উড়ে যায় একদম ব্রাজিলের গোলমুখের সামনে। বলটাকে রুখতে ঘুষি পাকিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এদারসন, কিন্তু তক্ষক্ষণে ক্ষিপ্রতার সাথে নিখুঁত হেডে লক্ষ্যভেদ করেন পেরু’র সেন্টার-ব্যাক লুইস আব্রাহাম।
এই হারে ব্রাজিলের টানা ১৭ ম্যাচ অপরাজিত থাকার কীর্তিতে ছেঁদ পড়লো। আর ৩ ম্যাচ পর জয়ের মুখ দেখলো পেরু। আপাতত ব্রাজিলের আন্তর্জাতিক সূচি এখানেই শেষ। তাদের পরের ম্যাচটি এখনও অনেক দূরে। অন্যদিকে পেরু আগামী ১০ অক্টোবর উরুগুয়ের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯
এমএইচএম