শুধু কি তাই, সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া দুই অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার আর অ্যারন ফিঞ্চকে আউটও করতে পারেননি ভারতীয় বোলাররা। মোহাম্মদ শামি, জাসপ্রীত বুমরাহদের তো রীতিমত তুলোধুনা করেছেন দুজনে মিলে।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ২৫৫ রানেই অল আউট হয়ে যায় ভারত। জবাবে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৭৪ বল হাতে রেখেই এই লক্ষ্য পেরিয়ে যায় অজিরা। ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে অজিদের এটাই প্রথম ১০ উইকেটের জয়।
১১২ বলে ১৭টি চার ও ৩ ছক্কায় ১২৮ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়ার্নার এবং অধিনায়ক ফিঞ্চ অপরাজিত থাকেন ১১০ রান নিয়ে। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ২৫৮ রানের জুটি ওয়ানডেতে অজিদের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৭ সালে অ্যাডিলেডে পাকিস্তানের বিপক্ষে ট্রাভিস হেড ও ওয়ার্নারের ২৮৪ রানের জুটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় কীর্তিতেও ওয়ার্নারের অবদান আছে। ২০১৫ সালে পার্থে আফগানদের বিপক্ষে স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে ২৬০ রানের জুটি গড়েছিলেন বাঁহাতি ওপেনার।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, একমাত্র দল হিসেবে ভারতের মাটিতে ভারতকে এই নিয়ে টানা ৪ ম্যাচেই হারিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া। ২০০৩ ও ২০০৬ সালে একই কীর্তি গড়েছিল অস্ট্রেলিয়াই। আর মুম্বাইয়ে এই নিয়ে টানা তৃতীয় ম্যাচে হারল ভারত।
ওয়ানডেতে কোনো উইকেট না হারিয়েই সর্বোচ্চ লক্ষ্য ছোঁয়ার তালিকায় অজিদের এই জয় আছে দ্বিতীয় স্থানে। এর আগে ২০১৭ সালে কিম্বার্লিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৭৯ রানের লক্ষ্য স্পর্শ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেবার অপরাজিত ছিলেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক।
এদিকে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বিরাট কোহলি (১৬), রোহিত শর্মাদের (১০) ব্যর্থতার রাতে হোঁচট খেয়েছে ভারত। কোহলির চারে নামার পরীক্ষা বিফলে গেছে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান এসেছে ওপেনার শিখর ধাওয়ানের ব্যাট থেকে। আর ওপেনিং থেকে তিনে নামিয়ে আনা লোকেশ রাহুল করেন ৪৭ রান। এছাড়া বলার মতো রান আসে ঋষভ পন্থ (২৮) ও রবীন্দ্র জাদেজার (২৫) ব্যাট থেকে।
অজিদের হয়ে বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাঁহাতি ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক। ২টি করে উইকেট গেছে প্যাট কামিন্স ও কেন রিচার্ডসন। আর ১টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন অ্যাডাম জাম্পা ও অ্যাশটন আগার।
ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২০
এমএইচএম