জহির আব্বাস বলেন, ‘পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের জন্য এটাই সঠিক সময় নিজেদের শুধরে নেওয়ার। এতদিন দুর্নীতির বিষয়গুলো গুরুত্ব না দেওয়া এবং মূলত লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর হামলার কারণেই আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার টিম বাসে হামলার ঘটনাটি যদি গুরুত্বের সঙ্গে আমরা মোকাবিলা করতাম তবে আমাদের দেশ ছেড়ে বাইরে খেলতে বাধ্য হতে হতো না। দুর্নীতির এই কেলেঙ্কারিগুলো বিগত কয়েক বছর ধরে আমাদের ক্রিকেটের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ’
ফিক্সিং অপরাধের আইনগুলো যদি কঠোরভাবে মানা হতো তবে সম্প্রতি পাকিস্তানের স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনাগুলো ঘটতো না বলে মনে করেন পাকিস্তানের সাবেক এই ব্যাটসম্যান।
তিনি বলেন, ‘সর্বোপরি পাকিস্তান ক্রিকেটকেই এর জন্য ভুগতে হয়েছে, আমরা অনেক প্রতিভাবান ভালো ভালো ক্রিকেটার হারিয়েছি। তবে এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ফিক্সিংয়ে প্রভাবিত হয়েছে বা দুর্নীতিতে জড়িয়েছে যেসব ক্রিকেটাররা তাদের কাছে একটা ভুল বার্তা পাঠানো হয়েছে। ’
‘এশিয়ার ব্রাডম্যান’ খ্যাত জহির আব্বাস এ ধরনের অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি অবশ্যই বলবো ফিক্সিং অপরাধ সহ্য করার কোনো কারণ নেই। একজন ক্রিকেটার হিসেবে দেশ, দল এবং খেলার বিরুদ্ধে এ ধরনের কাজ করা চরম শাস্তিযোগ্য একটি অপরাধ। ’
জহির আব্বাস মনে করেন, একজন ক্রিকেটার যখন ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়েন তখন এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছুই হতে পারে না। কারণ একজন ক্রিকেটারের বৈধভাবে আয়ের অনেক পথ খোলা থাকে।
তিনি বলেন, ‘একজন ক্রিকেটারের জন্য ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে, জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে, বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগ খেলে, অনুমোদন নিয়ে, স্পনসরশিপ থেকে বৈধভাবে অর্থ উপার্জন করার পথ খোলা আছে। তাই তাদের (ক্রিকেটার) জন্য তো এ ধরনের ফিক্সিং কার্যকলাপে জড়ানোর কোনো প্রশ্নই আসে না। এটা আর সহ্য করা ঠিক হবে না। ’
পাকিস্তানের সাবেক পেসার আকিব জাভেদ সম্প্রতি বিভিন্ন সময়ে সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, কোনো ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে এই ধরনের অপরাধ প্রমাণিত হলে সেই ক্রিকেটারকে আর কোনোভাবেই ক্রিকেটে ফিরিয়ে নিয়ে আসাটা ঠিক হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২০
আরএআর/ইউবি