তবে আর্থিকভাবে অসচ্ছল ক্রিকেটাররা ঘরে বসে ফিটনেস নিয়ে বেশি কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন না। তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসি) সেইসব অসচ্ছল ক্রিকেটারদের ফিটনেস সরঞ্জাম কিনে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
রোববার (০৫ জুলাই) সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। তিনি মনে করেন ক্রিকেটারদের ফিটনেস ধরে রাখতে বাসায় ভালো সরঞ্জাম প্রয়োজন। ভালো সরঞ্জাম দিয়ে ফিটনেস নিয়ে কাজ করলে পুরোপুরি না হলেও ৮০ভাগ ফিট থাকা যায়। এরপর মাঠে অনুশীলন করলে পুরোপুরি ফিট হতে দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগবে।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক বলেন, ‘বাসায় প্রশিক্ষণটা কত উন্নত করা যায় আমরা সেই চেষ্টা করছি। সেটা নিয়ে চেষ্টা করতে গিয়ে আমরা এখন পরিকল্পনা করছি তাদের সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করতে পারি কিনা। কারো কারো বাসায় দেখবেন জিম আছে। আবার কারো কারো বাসায় হাঁটার জায়গাও নেই। আমরা চেষ্টা করছি যাদের কিছুই নেই ওদের কিছু সরঞ্জাম দিতে পারি কিনা, এগুলো বাসায় নিয়ে ফিটনেস ট্রেনিং করা যাবে। তাহলে ন্যূনতম ৮০ ভাগ ফিটনেস তারা ধরে রাখতে পারবে। তাছাড়া এখন আমাদের শতভাগ ফিটনেস দরকারও নেই। আউটডোর ট্রেনিংয়ে গেলে তিন সপ্তাহের মধ্যেই তা ফিরে পাওয়া যাবে। এই মুহূর্তে এটা আমাদের দিক থেকে চিন্তা ভাবনা। ’
করোনা পরবর্তী ক্রিকেট মাঠে ফেরাতে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার কথা বিসিবির মেডিক্যাল বিভাগ ইতোমধ্যে পরিকল্পনা করেছে। যেকোনো সময়ে অনুশীলন করা যেতে পারে। এছাড়া বিসিবিও জানিয়েছে যে দেশের প্রধান স্টেডিয়ামগুলোও প্রস্তুত রয়েছে অনুশীলনের জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২০
আরএআর/এমএমএস