নিউইয়র্ক থেকে: সোমবার ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যার আড্ডাটা বেশ জমে উঠেছিলো। নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি ছোট্ট কামরায় জনা দশেক প্রবাসী বাংলাদেশি।
শুরুতেই জানা গেলো, এখানে বাংলাদেশিদের সিংহভাগই ডেমোক্র্যাটদের সমর্থক। কেন? সে প্রশ্নে অনেকেরই সমস্বরে উত্তর, ডেমোক্র্যাটরা অভিবাসনবান্ধব।
আড্ডার মধ্যেই প্রতিবাদ উঠলো, এটা ঠিক নয় যে, ডেমোক্র্যাটরা প্রেসিডেন্ট হলেই অভিবাসীরা তথা বাংলাদেশিরা ভালো থাকেন। তবে এবারের নির্বাচন আসলে ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকানদের মধ্যে নয়, এবারের নির্বাচন হচ্ছে দুজন প্রার্থীর মধ্যে। একজন হিলারি অন্যজন ট্রাম্প।
বাংলাদেশিরা ট্রাম্পের বিপক্ষে। তার বক্তব্যগুলো ধর্মবিদ্বেষী। আর ধর্মপ্রাণ বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য তার মতো প্রেসিডেন্ট ক্ষতিকর হয়ে উঠবেন!
শুরুর দিকে অনেক বাংলাদেশিই ট্রাম্পের সমর্থক ছিলেন এই কথা জানিয়ে একজন বললেন, আসলে তার বক্তব্যগুলোই তাকে ডুবিয়েছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প ভালোই হতেন।
ট্রাম্পপ্রীতির এই বক্তব্যে প্রতিবাদ এলো বটে তবে জোরদার নয়। বরং এক-দুই জনের মাথা নাড়ানো সায় মিললো।
আড্ডায় কথা উল্টে যায়, কিন্তু এতো দ্রুতই ঠিক বিপরীত মত আসবে তা ভাবনায় ছিল না।
তাহলে ট্রাম্পই যোগ্য? সে প্রশ্নে ওই বক্তা বললেন, ট্রাম্প যোগ্য সে কথা নয়, মূলত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদের জন্য এবারের দুই জন প্রার্থীর কেউই তেমনটা যোগ্য নন। তার মধ্যে মন্দের ভালো হিলারি ক্লিনটন।
তাই যদি হয়, তাহলে তো সবাই হিলারিকেই ভোট দেবেন। সে প্রসঙ্গে অনেকের মত, বাংলাদেশিরাই শুধু নয়, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের প্রায় সকলেই মনে করছেন হিলারি ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট হলে তাদের সুবিধা হবে। আর তাই তাকেই ভোট দেবেন আর তার নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
সম্ভাবনা কেন বলা হচ্ছে, নিশ্চিত করে কেন বলা যাচ্ছে না। ট্রাম্পতো কত অঘটনই ঘটিয়ে চলেছেন।
উত্তরে একজন বললেন, এটা সত্য ট্রাম্প অঘটন ঘটাচ্ছেন, তার পরেও যারা রেজিস্টার্ড রিপাবলিকান তারা তো ট্রাম্পকেই ভোট দেবেন, নয় কি? এ পর্যায়ে নন-হিসপ্যানিক শেতাঙ্গ আমেরিকানদের রাজনৈতির সিদ্ধান্তে ন্যায্যতার প্রয়োগ জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ওই আড্ডাবাজ। বললেন, এই জ্ঞান আমেরিকানদের নড়বড়ে। বরং তারা একটু গোড়া ও কট্টরপন্থি। মূলত ট্রাম্প নারীদের নিয়ে যা ভাবেন, মুসলমানদের নিয়ে যা ভাবেন, মেক্সিকানদের নিয়ে যা ভাবেন, একই ভাবনা অধিকাংশ শেতাঙ্গ আমেরিকানদের। তাদের একটি দল বিষয়টি এতোটা প্রকাশ্য হোক সেটা চান না, এটা ঠিক কিন্তু আবার এটাও মনে করেন, ট্রাম্প যা বলছেন ঠিক কথাই বলছেন।
অপরজন মত দিলেন, অনেক শেতাঙ্গ আমেরিকান এখনও মনেই করতে পারেন না, একজন নারী হবেন তাদের প্রেসিডেন্ট। এই ক্ষেত্রে মানসিকতার দিক থেকে আমেরিকানরা অনেকটাই পিছিয়ে।
এই নিউজের বাকি অংশ পড়তে ক্লিক করুন
পূর্বের সংবাদ আরও পড়ুন
***বহু জাতির দেশে বহুমুখী ভোট, বহু তার সমীকরণ
*** আবহাওয়া ঠাণ্ডা, ভোটের হাওয়া কী গরম!
***অদ্ভুত এক নির্বাচনের দেশে!
***প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাভার করতে বাংলানিউজ’র মেনন যুক্তরাষ্ট্রে
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
এমএমকে/আইএ