কনকনে শীতে জবুথবু আর বৃষ্টির দিনে কুঁড়ে ঘরের চালের পানিতে সোনা বরুর বসবাস। সোনা বরু ও মেয়ে হাজেরা বেগমের দিন চলে কোনো রকম।

ঘরে সোনা বরুর। ছবি: বাংলানিউজ
রুহিতা গ্রামের সোনা বরুর মতো অনেকেই এরকমের অসহায় দিনযাপন করছে। শতবর্ষী সোনা বরুর সঙ্গে তখন কথা হয়, দেখা যায় কনকনে শীতে কুঁড়ে ঘরে কোনো রকম একটি পাতলা কম্বল গায়ে দিয়ে বসে আছেন। এ বয়সে চোখে কম দেখা আর কানে কম সোনা স্বাভাবিক বিষয়, কিন্তু সোনা বরু ঠিক তার উল্টো। দেখামাত্র চিনতে পেরেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঠিক পাইছি, আমি চোখেও কম দেখিনা কানেও কম শুনিনা।বৃদ্ধ বয়সে সংসার জীবন কেমন চলছে জানতে চাইলে সোনা বরু বলেন, স্বামী মারা গেছে হিরিকের (স্বাধীনতা যুদ্ধে) সময়। হেরপর থেকে মাইয়াডা নিয়া থাহি। সংসার কিভাবে চলছে জানতে চাইলে বলেন, মাইয়াডায় কাম হইরা আনে হেইয়া দিয়া চলে সংসার। আর মাইনসে মাঝে মাঝে চাইল-ডাইল দেয়।
তিনি আরও বলেন, মাইয়াডারে বিয়া দিছি বছরের মাথায় তালাক দিয়া গ্যাছে। মোর মোহের দিকে তাকাইয়া মাইয়ার সুখ হয় নাই।
প্রতিবেশী মো. রফিক বলেন, সোনা বরু খুবই অসহায়। আমরা মাঝে মাঝে তাদের সহযোগিতা করি। মা-মেয়ে খুবই অসহায় আছে।
পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. খলিলুর রহমান বলেন, ওই মা-মেয়েকে আমরা মাঝে মধ্যে চাল-ডালসহ বিভিন্ন কিছু দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
এসএইচ