ঢাকা: যখন কোনো স্বৈরাচারের পতন হয়, তখন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির বিজয় হয়। আর যখন কোনো ষড়যন্ত্র হয়, তখন বিএনপির পরাজয় হয়।
সেই সঙ্গে চোখ-কান খোলা রেখে হতে হবে সাবধান। একানব্বইয়ের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে যেমন ক্ষমতার ভাব চলে এসেছিল, তেমন ভাব যদি এখন বিএনপির মধ্যে আসে, তাহলে সমূহ সর্বনাশ। শহীদ জিয়ার আদর্শ আবারও ষড়যন্ত্রের কাছে ধুলায় লুটিয়ে পড়বে। বিএনপির একমাত্র সম্পদ হলো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ। আর সেই জাতীয়তাবাদী আদর্শের প্রতীক হলেন বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান। এর বাইরে কেউ অন্য কিছু চিন্তা করলে, দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে যদি ক্ষমতার আগাম ভাব চলে আসে, তাহলে সর্বনাশ কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একজন ভাগ্যবান দেশপ্রেমিক। অত্যন্ত সাহসী, মেধাবী, সৎ এই মানুষটি নিজে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এবং পরে দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণ অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে স্বাধীনতা-সংগ্রামীদের নামের তালিকা অনেক দীর্ঘ। তালিকা দীর্ঘ হলেও সৌভাগ্যবান একমাত্র জিয়াউর রহমান। স্বাধীনতা-সংগ্রামে একজন মেজর যদি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিতেন তাহলে জাতি সঠিক দিকনির্দেশনা পেত কি না তা ভেবে দেখার বিষয়। কারণ তখন কার নেতৃত্বে যুদ্ধ প্রস্তুতি চলছিল, জাতি তা জানত না। একজন মেজরের স্বাধীনতার ঘোষণাই সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের জন্মের আগাম বার্তা হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। সে কারণে ইতিহাস থেকে ইচ্ছা করলেই মেজর জিয়াকে মুছে ফেলা যায়নি, যাবে না।
মেজর জিয়াকে জাতি আবার ত্রাণকর্তা হিসেবে পেয়েছিল যখন তিনি প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। জাতির এক ক্রান্তিলগ্নে সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে তিনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। সামরিক শাসক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ১৯ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে সারা দেশের মানুষের মন জয় করেছিলেন। দেশবাসীকে ১৯ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়ে নিজেই হাতে তুলে নিয়েছিলেন খাল খননের কোদাল। ১৯৭৭ সালের ৩০ এপ্রিল তিনি একটি রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচি ১৯ দফা ঘোষণা করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেন। এই ১৯ দফার উদ্দেশ্য ছিল দেশের উন্নয়ন। কৃষিসহ সব সেক্টরে উৎপাদন বাড়ানো। স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়তে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা। সম্পদের সুষম বণ্টন ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ। তিনি বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে খাল খনন ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষি এবং পরিবেশে বিপ্লব সৃষ্টি করেছিলেন। সেই ১৯ দফার প্রথম দফাই ছিল দেশের স্বাধীনতা, অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। একজন দেশপ্রেমিক, মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে তিনি দেশের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। ১৯তম দফাটি ছিল, ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-নির্বিশেষে সব নাগরিকের অধিকার পূর্ণ সংরক্ষণ এবং জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুদৃঢ় করা। তিনি জীবনের সর্বক্ষেত্রে ১৯ দফায় ঘোষিত নীতি-আদর্শ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। সৎ মানুষ হিসেবে তাঁর সুনাম ছিল সর্বজনবিদিত। তাঁর সততা নিয়ে প্রশ্ন করার দুঃসাহস শত্রুদেরও নেই।
আওয়ামী লীগের স্যুট ও খালেদা জিয়ার ভোট এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর ১৯৮২ সালের ২ জানুয়ারি সাধারণ সদস্য হিসেবে বিএনপিতে যোগদান করেন গৃহবধূ বেগম খালেদা জিয়া। পরে ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে দলের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৪ সালের আগস্টে দলটি তাঁকে চেয়ারপারসন নির্বাচিত করে। এরপর থেকে চলতে থাকে তাঁর আপসহীন সংগ্রাম। সেই সংগ্রামের ফসল ছিল স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে এরশাদের পতন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জয়লাভ করে। বাংলাদেশের মানুষ শহীদ জিয়ার আদর্শ ভালোবেসে খালেদা জিয়াকে বিজয়ী করে। ওই নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ছিল ফুরফুরে মেজাজে।
দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাও মনে করেছিলেন তাঁর দল নিশ্চিত ক্ষমতায় আসছে এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের অনেকে নিজেকে সম্ভাব্য মন্ত্রিসভার সদস্য ভেবে নতুন স্যুট, মুজিব কোট বানিয়েছিলেন। চলনে-বলনে অনেকের মধ্যেই মন্ত্রী মন্ত্রী ভাব চলে এসেছিল। কিন্তু নির্বাচনে ফল হলো উল্টো। দেশের জনগণ ধানের শীষে ভোট দিয়ে ভোটের বাক্স ভরে দিয়েছিল। এরপর তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে সৃষ্টি হয় ওয়ান-ইলেভেনের মতো একটি কালো অধ্যায়। আর সেই ষড়যন্ত্রে তিনি হেরে যান। মূলত হেরে যায় জাতীয়তাবাদী শক্তি।
শুরু হয় জাতীয়তাবাদী শক্তির নতুন লড়াই। এ লড়াই ছিল অস্তিত্বের লড়াই। এ লড়াইয়ে মায়ের সঙ্গে যুক্ত হলেন পুত্র তারেক রহমান। ২০০৭ থেকে শুরু হয় সেই যুদ্ধ। এই দীর্ঘ সময়ের লড়াইয়ে একজন স্ত্রী হারিয়েছেন তাঁর স্বামীর স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক মইনুল হোসেন সড়কের বাড়িটি। প্রতিহিংসার বুলডোজার যখন জাতীয়তাবাদী শক্তির আঁতুড়ঘরটি ভাঙে তখন কষ্টে ছটফট করছিলেন একজন। আরেকজন করেছিলেন পৈশাচিক উল্লাস। সংবাদ সম্মেলন করে অশালীনভাবে মানহানিকর অনেক বানোয়াট উপাত্ত প্রকাশ করা হয়। গোটা জাতি অবাকবিস্ময়ে শুধু মিথ্যাচার ও প্রতিহিংসার ভয়াবহতা অবলোকন করেছিল। এই লড়াইয়ে একজন মা তাঁর এক সন্তানকে হারান, আরেক সন্তানের জীবন বাঁচাতে করেন দেশান্তর। দেশের লাখ লাখ নেতা-কর্মীকে রক্ষার জন্য তিনি কর্তৃত্ববাদী সরকারের সঙ্গে আপস না করে কারাবরণ করেন। অন্যদিকে লন্ডনে বসে নিজেকে তৈরি করেন তারেক রহমান। দেশে কারাবন্দি ও হাসপাতালের বিছানায় জীবনমৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বেগম খালেদা জিয়া জাতীয়তাবাদী শক্তিকে বাঁচিয়ে রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করেন। জিয়াউর রহমানের আদর্শ, জাতীয়তাবাদী শক্তির জন্য জিয়া পরিবারকে কতটা অত্যাচার-নির্যাতন, অপমান সহ্য করতে হয়েছে ওই পরিবারের প্রতিজন সদস্য ছাড়া আর কেউ তা চিন্তাও করতে পারবে না। এমন এক দুঃসময়ে জিয়ার ১৯ দফার সঙ্গে আরও কিছু সময়োপযোগী দফা যোগ করে ৩১ দফা কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূলে গেছেন তারেক রহমান। বাংলাদেশকে একটি আধুনিক, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যমুক্ত স্বনির্ভর রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে তিনি কাজ করছেন রাতদিন। কিন্তু জিয়া পরিবারের এত ত্যাগ, এত কষ্ট কি মাঠের নেতা-কর্মীরা উপলব্ধি করতে পারছেন? কর্তৃত্ববাদী হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মামলা, হামলামুক্ত একটি স্বাধীন পরিবেশ পেয়েছেন। যারা এতদিন আত্মগোপনে ছিলেন তারা প্রকাশ্যে এসেছেন। যারা বাড়িঘর ছাড়া ছিলেন, তারা নিজ বাড়িতে ফিরতে পেরেছেন। এ এক মহা-আনন্দের সময় এখন বিএনপির। কিন্তু অনেকেই অভিযোগ করছেন, একানব্বইয়ের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের মধ্যে যেমন নিশ্চিত ক্ষমতায় যাওয়ার ভাব চলে এসেছিল, তেমনি ভাবের মধ্যে আছেন এখন বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী। দেশের অনেক স্থানেই ক্ষমতা প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা চলছে। দলের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু সুযোগসন্ধানী বিএনপির নেতা পরিচয়ে চাঁদাবাজি দখলসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকার গুলশান থানায় মনির হত্যায় বিএনপির মহানগরের কিছু নেতা তার পিতা আবু জাফরকে দিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ১০৫ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী রয়েছেন। আসামির তালিকায় একজন হলেন যুবদলের কর্মী ও জিয়াউর রহমানের চিফ সিকিউরিটি অফিসারের পুত্র, যিনি জুলাই বিপ্লবেও সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাকে শুধু আসামিই করা হয়নি, পুলিশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে গ্রেপ্তারও করানো হয়। কয়েক মাস কারাভোগ করে তিনি জামিন পেয়েছেন। ব্যক্তিগত শত্রুতায় তাকে আসামি করে গ্রেপ্তার করানো হয়। যুবদলের ওই কর্মীর গ্রেপ্তারের খবর শুনে তার পিতা সাবেক সেনা কর্মকর্তা শুধু আফসোস করে বলেছিলেন, ‘আমি কার কাছে বিচার দেব। ’ সেই মামলা থেকে তিনজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর নাম বাদ দেওয়ার জন্য মামলার নেপথ্যের বিএনপি নেতারা মামলার বাদীর মাধ্যমে ৬ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন। কিন্তু যাদের নামে মামলা করা হয়েছে, তারা টাকা দিতে রাজি হননি। এভাবে মামলা-বাণিজ্যে একটি গ্রুপ বেপরোয়া হয়ে ওঠে। পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ১১ নম্বর বড় মাছুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর ছগিরের মতো চুনোপুঁটি নেতাও চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, মারপিট, হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনের মতো কাজে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তৃণমূলের এই ছোট্ট নেতা অন্যের দোকান দখল করে বানিয়েছেন বিএনপির অফিস। দলের পক্ষ থেকে তার অপকর্মের তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছে, কিন্তু এখনো তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এভাবে চলতে থাকলে আখেরে লাভবান হবে সন্ত্রাসী, দখলবাজ, চাঁদাবাজরা। সর্বনাশ হবে জাতীয়তাবাদী ঐক্যের প্রতীক খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের। অবশ্য শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ১২০০ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। কিন্তু তারপরও থামানো যাচ্ছে না দলের ভিতরের শত্রুদের।
এতদিন বিএনপির প্রকাশ্য প্রতিপক্ষ ছিল আওয়ামী লীগ। রাজনীতির মাঠে এখন আওয়ামী লীগ নেই। আগামী নির্বাচনে থাকবে কি না সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। বাংলাদেশে আপাতত শেখ পরিবারের রাজনীতির অধ্যায় শেষ। আগামী নির্বাচনের মাঠে বিএনপিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে মিত্রদের সঙ্গেই। নির্বাচনি প্রতিযোগিতায় আরও নতুন নতুন খেলোয়াড়ও মাঠে থাকবে। আগামী নির্বাচন যে সহজ হবে না, সেটা ৩১ দফার প্রণেতা জিয়াউর রহমানের আদর্শের উত্তরসূরি তারেক রহমান লন্ডনে বসে বুঝতে পারছেন। সে জন্যই তিনি ক্লিন ইমেজের ভালো মানুষকে দলে আনার তাগিদ দিচ্ছেন। দলকে তিনি আবর্জনামুক্ত করতে চান। সেই উপলব্ধি থেকেই দলের সদস্যপদ নবায়ন অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, ‘শুভাকাঙ্ক্ষী থেকে সমর্থক, সমর্থক থেকে কর্মী, কর্মী থেকে নেতা বানাতে হবে। আমাদের ভালো মানুষ দরকার। আমাদের ইফেক্টিভ মানুষ দরকার। প্রোডাক্টিভ মানুষ আমাদের আগামীর দিনে দরকার। কারণ, এই পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার দেশকে অনেক পেছনে ফেলে দিয়েছে। ধ্বংস করে দিয়েছে বিভিন্ন জায়গা। কাজেই যদি পুনর্গঠন করতে হয়, আমাদের সেরকম মানুষ দরকার। সেরকম মানুষগুলোকে আমাদের খুঁজে বের করে নিয়ে আসতে হবে। ’
তারেক রহমানের এ বক্তব্য দলের নেতা-কর্মীরা যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবেন, ততই দলের জন্য, জাতীয়তাবাদী আদর্শের জন্য মঙ্গল। সেটা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে যদি এখনই ক্ষমতার ভাব চলে আসে, তবে সর্বনাশ হয়ে যাবে। কারণ ওয়ান-ইলেভেনের সময় যারা মাইনাস টু ফর্মুলার উদ্ভাবক ছিল, তারা এখনো তৎপর। এখনো তারা নানা কলকাঠি নেড়ে পানি ঘোলা করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশি-বিদেশি নানা অপশক্তির অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে সক্রিয় রয়েছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীসহ শেখ পরিবারের সবাই যেহেতু দেশ ছেড়ে পালিয়েছে এবং জনসমক্ষে আসার নৈতিক দৃঢ়তা হারিয়েছে, সে কারণে ওই মহলটির এখনকার টার্গেট শুধুই জিয়া পরিবার। বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দেরও এই কঠিন বাস্তবতা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রাখতে হবে।
লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
এসআইএস