বরিশাল: ভেকুবোঝাই পন্টুন ডাকাতির চেষ্টাকালে বরিশালের মুলাদীর জয়ন্তী নদী থেকে পাঁচ ডাকাতকে আটকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে গ্রামবাসী। আটকদের মধ্যে একজন বরিশাল নগরে ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা রয়েছেন।
সোমবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশালের নাজিরপুর নৌ-পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম।
এর আগে সকালে মুলাদীর চরকালেখান ইউনিয়নের বানীমর্দন এলাকা থেকে ওই ৫ ডাকাতকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিপুরের বাসিন্দা আজাহার মুন্সির ছেলে ও ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মহিউদ্দীন ওরফে রাইফেল মহিউদ্দীন (৩৮), নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুল হাওলাদারের ছেলে হাবিব (২৩), বরিশালের গৌরনদীর সরিকল ইউনিয়নের ইদ্রিস ফকির (৫৫), বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গির নগর ইউনিয়নের চরফতেহপুর গ্রামের মৃত মালেক আকনের ছেলে ফিরোজ আকন (৪২) এবং আগরপুর ইউনিয়নের নতুন চরজাহাপুর গ্রামের ফরিদ বেপারীর ছেলে সায়েম বেপারী (২২)। এর মধ্যে মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে অন্তত এক ডজন মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মুলাদীর নৌ-পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বলেন, ৮ মার্চ বিকেলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরে আলমের ইটভাটা থেকে পন্টুন ও ভেকু ডাকাতি হয়। ওই ভেকু ও পন্টুন জয়ন্তী নদীর মাদারীপুরের কালিকিনি উপজেলার নুর মোহাম্মদ মোল্লার ইটভাটায় এলাকায় নিয়ে রাখে। পরে ডাকাতি করা ভেকু ও পন্টুনসহ দুটি ট্রলারযোগে ২০-২২ ডাকাত বাবুগঞ্জের দিকে পালাচ্ছিল। এ সময় স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে পাঁচজনকে আটক করেছে।
এ বিষয়ে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আলম বলেন, সকালে নৌ-পুলিশ ও থানা পুলিশের সদস্যরা ওই ৫ ডাকাতকে কিছু অস্ত্রসহ আটক করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী গোটা দিন চরকালেখান এলাকায় পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে আরও কিছু অস্ত্র উদ্ধার করে। এর মধ্যে দুটি দেশীয় পিস্তল, ম্যাগাজিন, ৩৭ রাউন্ড গুলি ও বেশ কিছু রামদা, চাপাতি, ড্যাগার রয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ ও ভেকু মালিক বাদী হয়ে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৫
এমএস/এএটি