ঢাকা, শনিবার, ১ চৈত্র ১৪৩১, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১৪ রমজান ১৪৪৬

অন্যান্য

বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে সমুন্নত রাখা ও পারস্পরিক সহযোগিতার ভবিষ্যৎ নির্মাণ

ইয়াও ওয়েন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৫
বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে সমুন্নত রাখা ও পারস্পরিক সহযোগিতার ভবিষ্যৎ নির্মাণ বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন তাদের পূর্বসূরির ভুল নীতি অব্যাহত রেখে একতরফাভাবে চীনসহ অন্যান্য দেশের পণ্যের ওপর অন্যায্য শুল্ক আরোপ করেছে। এসব পদক্ষেপ বাস্তবতাকে বিকৃত করার পাশাপাশি একতরফা ক্ষমতার অপব্যবহারের উদাহরণ।

দায়িত্বশীল একটি বৃহৎ দেশ হিসেবে চীন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) কেন্দ্রিক বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থার সুরক্ষা নিশ্চিত করে আসছে এবং সব ধরনের সুরক্ষাবাদ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এসব পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক নীতি ও বহুপাক্ষিকতার আদর্শের পরিপন্থি। একতরফা শুল্ক আরোপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য নীতিমালাকে স্পষ্টভাবে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে ও বাজার নীতি এবং মুক্ত বাণিজ্যের চেতনাকে লঙ্ঘন করে এবং বিশ্বায়নের প্রবণতার বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে। বছরের পর বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ‘জাতীয় নিরাপত্তার’ অজুহাতে একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও আইন প্রয়োগের অপব্যবহার করে আসছে, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য বিষয়গুলোকে রাজনীতিকরণ, হাতিয়ারকরণ এবং অস্ত্রায়ন করছে। এই ধরনের অনুশীলনগুলো কেবল বৈষম্যহীনতার বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নীতি লঙ্ঘন করে না বরং উন্নয়নশীল দেশগুলো ন্যায্য বাণিজ্যের মাধ্যমে উন্নয়ন অর্জনের অধিকারকেও ক্ষুণ্ন করে।

চীন সর্বদা আন্তর্জাতিক নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং পারস্পরিক সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য নিরসনের পক্ষে। বহুপাক্ষিকতাবাদই বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার একমাত্র পথ এবং কোনো দেশই আন্তর্জাতিক নিয়মের ঊর্ধ্বে নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত পদক্ষেপগুলো বিশ্ব শিল্প ও সরবরাহ শৃঙ্খলের স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নকে মারাত্মকভাবে হুমকিস্বরূপ। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য শিল্প ও সরবরাহ শৃঙ্খলের স্থিতিস্থাপকতা এবং স্থিতিশীলতা রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি সকল জাতির অভিন্ন স্বার্থকে পরিবেশন করে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে বিশ্ব শান্তি, উন্নয়নকে উৎসাহিত করা এবং সহযোগিতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে একটি বৃহৎ দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করা উচিত। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, কিছু মার্কিন নীতিনির্ধারক এখনো আধিপত্যবাদী মানসিকতায় ‘শক্তির অবস্থান’ থেকে কাজ করছেন, প্রযুক্তি বিনিময় বাধাগ্রস্ত করতে ‘উঁচু দেয়ালঘেরা ছোট আঙিনা’ গড়ার নীতি অনুসরণ করছেন। চীনের শিল্প উন্নয়নকে ‘অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতা’ বলে অপবাদ দিচ্ছে এবং ‘বিচ্ছিন্নকরণ ও সরবরাহ শৃঙ্খল বিচ্ছেদ’ কৌশল অনুসরণ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের কাজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্বিগ্ন করছে এবং  যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত মুক্ত প্রতিযোগিতার অঙ্গীকারের সম্পূর্ণ বিপরীত।

চীন ধারাবাহিকভাবে আন্তরিকতার সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে গুরুত্ব দিয়েছে, মানবজাতির অভিন্ন ভবিষ্যৎ গঠনের ধারণাকে এগিয়ে নিয়েছে এবং পারস্পরিক সুবিধা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতির মাধ্যমে বৈশ্বিক শিল্প ও সরবরাহ শৃঙ্খলের স্থিতিশীলতায় ভূমিকা রেখেছে। এই দৃষ্টিভঙ্গি নতুন মার্কিন প্রশাসনের কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিপরীত, যা আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করছে।

এ ধরনের দ্বৈত নীতি পারস্পরিক আস্থা ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর। প্রকাশ্যে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ও বাস্তববাদী সহযোগিতার কথা বললেও যুক্তরাষ্ট্র একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পারস্পরিক বিশ্বাস বিনষ্ট করছে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।

চীন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক পারস্পরিক সুবিধার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে, যেখানে কোনো পক্ষ একতরফাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না বা লাভবান হয় না। তথ্যাদি প্রমাণ করে যে, বাজার নীতিকে উপেক্ষা করে শুল্ক আরোপ করে ‘দেয়াল’ গড়ে তোলার চেষ্টা কখনোই সহযোগিতার গতিকে থামাতে পারবে না। ২০২৪ সালে চীন-মার্কিন বাণিজ্য ৬৮৮ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০১৭ সালের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি। চীনে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, অর্ধেকেরও বেশি মার্কিন কোম্পানি ২০২৫ সালে চীনে তাদের বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। চীন-মার্কিন সম্পর্কের জন্য সহযোগিতাই একমাত্র গ্রহণযোগ্য পথ। যদি যুক্তরাষ্ট্র ভুল পথে চলতে থাকে, তাহলে চীন সর্বদা যথাযথ জবাব দিতে প্রস্তুত।

বিশ্ব বর্তমানে অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার নাজুক অবস্থায় রয়েছে। তাই উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে জরুরিভাবে সংহতি ও সহযোগিতা প্রয়োজন। চীন এবং বাংলাদেশ উভয়ই বিশ্বায়নের সুবিধাভোগী এবং অবদানকারী, যাদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ব্যাপক ঐকমত্য রয়েছে। গত বছর দুই দেশের নেতৃত্বের দিকনির্দেশনা এবং তাদের জনগণের দৃঢ় সমর্থনে চীন-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক জটিল চ্যালেঞ্জের মুখেও উল্লেখযোগ্য স্থিতিস্থাপকতা এবং গতিশীলতা দেখিয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়া এবং সমগ্র বিশ্বের স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধিতে আরও নিশ্চিততা সঞ্চার করেছে।
চীন ও বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতা ও মুক্ত বাণিজ্যের উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত হতে পারে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। চীন টানা ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। চীনা পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়েছে। এছাড়া  বাংলাদেশ এই বছরের মে মাস থেকে চীনে তাজা আম রপ্তানি শুরু করবে, যা বাংলাদেশের ফলশিল্পের জন্য একটি বড় সুযোগে এবং দুই দেশের বাণিজ্য আরও ভারসাম্যপূর্ণ হবে।

চীন বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা বজায় রাখতে, একতরফাবাদের বিরোধিতা করতে, চীন-বাংলাদেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনা প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সহযোগিতা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে। আমি জানি যে, অনেক বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান চীনে ইলিশ রপ্তানি করতে চায় এবং আমরা দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির কাঠামোর মধ্যে এ রপ্তানির প্রক্রিয়া সহজতর করতে পারি। বাংলাদেশ থেকে উচ্চমানের পণ্যকে স্বাগত জানায় চীন। এতে বাংলাদেশি পণ্যের জন্য তার বাজার আরও উন্মুক্ত করবে চীন।

উন্নয়ন ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে চীন-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ নিতে পারে। অবকাঠামো, তথ্য প্রযুক্তি, যোগাযোগ, টেক্সটাইল, পোশাক এবং সবুজ অর্থনীতির মতো ক্ষেত্রে চীনের সুবিধাগুলি বাংলাদেশের উন্নয়ন কৌশল, শিল্প কাঠামো এবং এর জনগণের চাহিদার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় চীনকে একটি অপূরণীয় অংশীদার করে তুলেছে। চীনা উদ্যোগগুলো বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভাবনা সম্পর্কে আশাবাদী এবং এখানে তাদের সম্পৃক্ততা আরও বাড়াতে আগ্রহী। চীনা পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৪ সালে চীন থেকে বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) ৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা চীনকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগকারী পরিণত করেছে। গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকে কমপক্ষে ১৪টি চীনা কোম্পানি বাংলাদেশে ২৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে, যার মধ্যে টেক্সটাইল এবং পোশাক, ব্যাগেজ, পাদুকা, পরচুলা ইত্যাদি উৎপাদন খাত অন্তর্ভুক্ত। এই সময়ের মধ্যে চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম বিনিয়োগকারী। আগামী মাসে (এপ্রিলে) বাংলাদেশ ২০২৫ বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করবে। আমরা আরও চীনা কোম্পানিগুলিকে এতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করব, আরও ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বকে সমর্থন করব। চীন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ চুক্তিকে সর্বোত্তম করার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতেও প্রস্তুত, যাতে উভয় দেশের উদ্যোগগুলি ব্যবসায়িক সুযোগগুলি অন্বেষণ এবং অভিন্ন উন্নয়নের জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম পায়।

দ্বিপাক্ষিক পারস্পরিক আস্থা ও পারস্পরিক কল্যাণমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে। রাজনৈতিক পারস্পরিক বিশ্বাস সকল প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের ভিত্তি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকে বহুবার জোর দিয়েছে যে, চীনের সঙ্গে সহযোগিতায় প্রকল্পগুলি, চলমান এবং নির্মাণাধীন, উভয়ই অপরিবর্তিত রাখার প্রতিশ্রুতি অপরিবর্তিত থাকবে এবং ইতিমধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলি কার্যকর থাকবে। এটি স্পষ্টতই দুই দেশের মধ্যে গভীর রাজনৈতিক পারস্পরিক বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটায়, সেইসঙ্গে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের প্রতি বিস্তৃত সামাজিক এবং জনসাধারণের সমর্থনও প্রতিফলিত করে। চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে আন্তঃসরকারি সহযোগিতা প্রকল্পগুলি সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে চলেছে এবং কোনো বাধা ছাড়াই ত্বরান্বিত হচ্ছে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প এবং ডাবল পাইপ লাইনসহ সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং স্থাপন প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটের জন্য চীন-সহায়তা প্রকল্প এবং ঢাকা উত্তর শহরে ডব্লিউটিই পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্পও সফলভাবে শুরু হয়েছে। চীনা অর্থনৈতিক ও শিল্প অঞ্চল প্রকল্প শুরু হতে চলেছে। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে চীন বাংলাদেশের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের মাধ্যমে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বাংলাদেশে আরও যুগান্তকারী প্রকল্প এবং ‘ছোট এবং সুন্দর’ জীবিকা নির্বাহের প্রকল্প নিয়ে আসবে। চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে থাকবে।

ইতিহাস বারবার প্রমাণ করেছে যে, বিভাজন কেবল বিচ্ছিন্নতা বাড়ায়, কিন্তু উন্মুক্ততা সবার জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনে। চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির এই সময়ে চীন পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমানাধিকার ও পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে আরও সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।
আমরা ডব্লিউটিও -এর মতো বহুপাক্ষিক কাঠামোর অধীনে সমন্বয় ও সহযোগিতা বাড়াব, দুই দেশের শিল্প ও সরবরাহ শৃঙ্খলের সমন্বিত উন্নয়নকে উৎসাহিত করব এবং চীন-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও গভীর ও দৃঢ় করার মাধ্যমে উভয় দেশের জনগণের জন্য আরও বাস্তব সুবিধা বয়ে আনব।

লেখক: বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত 

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৫
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।