ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

মাগুরায় রঙিন ফুলকপি চাষে দিপা বালার চমক

জয়ন্ত জোয়ার্দ্দার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
মাগুরায় রঙিন ফুলকপি চাষে দিপা বালার চমক

মাগুরা: মাগুরা জেলার  শ্রীপুর উপজেলায় হাজরাতলা এলাকায় রঙিন ফুলকপি চাষ করে চমক দেখিয়েছেন সুশেন বালা ও দিপা বালা নামের দুই কৃষক। বেগুনি ও হলুদ রঙের এই ফুলকপি দেখতে খুবই সুন্দর।

খেতেও সুস্বাদু, পুষ্টিগুনও রয়েছে অধিক।  

চলতি শীত মৌসুমে ৪০শত জমিতে কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রথমবার এমন ব্যতিক্রম সবজির চাষ করে সাড়া ফেলেছেন এ দুই কৃষক-কৃষনী।

২০ হাজার টাকা খরচ করে ৪০শত জায়াগায় উৎপাদন করেছেন রঙিন ফুলকপি। বেগুনি ও হলুদ রঙের এই ফুলকপি দেখতে খুবই সুন্দর। খেতেও খুই সু-স্বাধু। এই ফুলকপিতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুন। শ্রীপুর উপজেলা কৃষি অফিসের দেওয়া সার ও বীজ জমিতে চাষ করে সফল হয়েছে এ চাষিরা। রঙিন ফুল কপি চাষ করে সফল হওয়া আগামীতে বেশি করে রঙিন ফুলকপির চাষ করবেন এমনটাই বলছেন তারা।

রঙিন ফুলকপি চাষি সুশেন বালা বলেন, শ্রীপুর কৃষি অফিসের দেওয়া সার ও বীজ জমিতে চাষ করে এ বছর ফলন ভাল পেয়েছেন। বাজারে দামও ভালো। সাদা ফুলকপি যদি ১৫ টাকা বিক্রি হয় রঙিন ফুলকপি ৫০-৬০ টাকা দাম। চাহিদা ভাল থাকায় আগামীতে ফুলকপি চাষ বৃদ্ধি করবেন এ কৃষক। শীতকাল এলেই সাদা ফুলকপি চাষ করে এসেছেন তিনি। কৃষি অফিসের পরামর্শে ৪০ জায়গায় এই রঙিন ফুলকপির চাষ করেছেন তিনি।

সবজি চাষি দিপা বালা জানান, এ বছর ২০ শতাংশ জায়গায় বেগুনি ও হলুদ রঙের ফুলকপির চাষ করেছি। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শক্রমে রঙিন ফুলকপির চাষ শুরু করেন তিনি। এতে করে ভালো ফলন ও মূল্য বেশি পাওয়া খুবই খুশি দিপা বালা। এছাড়াও অন্যন্য কৃষকরা এই কপি চাষে আগ্রহী হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, রঙিন ফুলকপির উৎপাদান ভাল হয়েছে বাজারে দামও ভালো। তবে রঙিন হওয়ায় বাজারে এই ফুলকপির দাম দ্বিগুন। সুশেন বালার জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ হয়েছে দেখতে খুবই সুন্দর। আগামীতে এই রঙিন ফুলকপি চাষ করবো।

মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান বলেন, শ্রীপুর উপজেলা হাজরাতলা গ্রামে বরাইলিদহ মাঠের ব্লকে বেগুনি ও হলুদ রঙিনের ফুলকপির চাষ করা হয়। সাদা ফুল কপি বাজারে ১৫ টাকা বিক্রি হয় আর বেগুনি ও হলুদ ৫০-৬০ টাকায় বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এটার ফলটাও ভাল প্রতিটা ফুল প্রায় এক থেকে দেড় কেজি ওজন হয়েছে। সে দিক থেকে কৃষক আর্থিক ভাবে লাভবান হবে।  

তিনি আরও বলেন, রঙিন ফুলকপির মধ্যে রয়েছে বিটা কেরোটিন এবং এন্টি অক্সডিন্টে থাকার কারনে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। মানব শরীরের ক্যান্সার ও হৃদ রোগের ঝুকিগুলো অনেকাংশে কমায়। পুষ্টির চাহিদাটাও মেটাতে সক্ষম হবে। রঙিন ফুলকপির চাষ এ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।