ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

বাগেরহাটে কোরবানির হাট মাতাবে চেয়ারম্যানের টাইগার, বাংলালিংক ও দয়াল

এস.এস শোহান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩১ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৩
বাগেরহাটে কোরবানির হাট মাতাবে চেয়ারম্যানের টাইগার, বাংলালিংক ও দয়াল

বাগেরহাট: কংক্রিটের ফ্লোর, কাঠের ফ্রেম ও টিনের চালার ঘর ভর্তি গরু। দরজার পাশেই ঘাস মুখে জাবর কাটছে বিশালাকৃতির তিন ষাঁড়।

এরপর রয়েছে আরও কয়েকটি ছোট বড় ষাঁড় ও বিভিন্ন বয়সের গরু। গরুগুলোর মাথার ওপর ঝুলছে ফ্যান। নিচে রয়েছে স্বাস্থ্যসম্মত ম্যাট্রেস। গরুর খাবার ও পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা।  

সব মিলিয়ে আদর্শ একটি ফার্ম এটি। মহুমা-মানহা অ্যাগ্রো পার্ক নামে এ প্রতিষ্ঠানটির মালিক কচুয়া উপজেলার কচুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিকদার হাদিউজ্জামান।  

উপজেলার টেংরাখালীতে নিজ বাড়িতে গড়া এ খামারে এবার কোরবানির ঈদে বিক্রির উপযোগী ১৩টি ষাঁড় রয়েছে। এর মধ্যে সব থেকে বড় ষাঁড়টির নাম টাইগার। ছয় ফুট উচ্চতা ও ১১ ফুট লম্বা ষাঁড়টির ওজন ৭০০ কেজির বেশি। গাঢ় খয়েরি রঙের ওপরে সাদা সাদা ছোপ। ষাঁড়টি স্থানীয়দের নজর কেড়েছে এরই মধ্যে। বিশালাকৃতির এ ষাঁড়টির দাম চাওয়া হচ্ছে ছয় লাখ টাকা।

শুধু টাইগার নয়, এ খামারে ৬০০ কেজি ওজনের দুটি গরু রয়েছে। যার একটির নাম বাংলালিংক, অন্যটির দয়াল। কুচকুচে কালো রঙের ওপর হালকা লালচে ডোরাকাটা হওয়ায় নাম রাখা হয়েছে বাংলালিংক। সুন্দর গড়নের এ ষাঁড়টির দাম হাঁকা হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা।

বাংলালিংকের পাশেই থাকে ফ্রিজিয়ান জাতের দয়াল। এটির দামও পাঁচ লাখ টাকা। এর সঙ্গে বিভিন্ন দাম ও আকৃতির আরও ১০টি ষাঁড় রয়েছে, যেগুলো এবারের কোরবানিতে বিক্রি করা হবে।

কোরবানি উপলক্ষে প্রস্তুত করা গরুগুলো মোটাতাজা করা হয়েছে ঘরোয়া খাবারে। নিজের খেতে উৎপাদিত ঘাস, ভুট্টা, ধানের কুড়া, গমের ভুসি ও মৌসুমি ফল খাওয়ানো হয় এদের। গোয়ালঘর পরিষ্কার রাখা, গরুগুলোকে গোসল করানো, খাবার দেওয়ার জন্য নিয়মিত চারজন শ্রমিক কাজ করছেন। ভালো দাম পেলে ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে খামার করার পরিকল্পনা রয়েছে এ জনপ্রতিনিধির।

খামার পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা আব্দুল গাফফার নকিব বলেন, ভোরে উঠেই ক্ষেত থেকে ঘাস কাটি। ঘাস নিয়ে বাড়ি ফিরে গোয়ালঘর পরিষ্কার করি এবং গরুগুলো গোসল করাই। চারজন মিলে সারাদিন গরুগুলোর পেছনে খাটি। এখান থেকে যা পাই, তাতেই চলে আমাদের সংসার।

গরু দেখতে আসা কামরুল শিকদার বলেন, এলাকায় এতো বড় গরু নাই। তাই মাঝে মধ্যেই দেখতে আসি। বাইরে থেকেও অনেকে গরু দেখতে আসে। গরুগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে।  

খামার মালিক ইউপি চেয়ারম্যান শিকদার হাদিউজ্জামান বলেন, কৃষক পরিবারের সন্তান হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই কৃষি ভিত্তিক বিভিন্ন কাজের প্রতি আগ্রহ রয়েছে। ২০২২ সালে বিভিন্ন এলাকা থেকে কেনা ১৩টি ষাঁড় ও তিনটি গাভি নিয়ে খামার শুরু করি। এবার ১৩টি ষাঁড় বিক্রি করতে পারব। এর মধ্যে টাইগার, বাংলালিংক ও দয়াল সব থেকে বড়। আমাদের খামারের গরুগুলো একেবারে প্রাকৃতিক পরিবেশে বড় হয়েছে। দেখে শুনে কেনার সুযোগ রয়েছে। কেউ চাইলে, কিনে রেখে যেতে পারেন। কোরবানির আগের রাতে তার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৩

এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।