চাঁদপুর: চাঁদপুর জেলার নদী উপকূলীয় উপজেলা ও চরাঞ্চলের জমিগুলো কৃষি আবাদের জন্য অন্যতম। সরিষার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় তুলনামূলক এ বছর চরাঞ্চলে সরিষার আবাদ বেড়েছে।
কৃষি বিভাগ বলছে স্থানীয়ভাবে তেলের চাহিদা মেটাতে চরাঞ্চলে পরিকল্পিতভাবে সরিষার আবাদ বেড়েছে।
সরেজমিন মেঘনা নদীর পশ্চিমে রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের মুগাদি ও গোয়ালনগর গিয়ে দেখা গেছে অধিকাংশ জমিতে সরিষার আবাদ। পাশাপাশি মৌসুমি অন্য ফসল থাকলেও কম।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলার আট উপজেলায় ৩৭৪০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় ২০০ হেক্টর বেশি। এর মধ্যে মলতব উত্তর, চাঁদপুর সদর, হাইমচর উপজেলার চরাঞ্চল এবং কচুয়া ও হাজীগঞ্জ উপজেলায় বেড়েছে সরিষার আবাদ। একই সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে চরাঞ্চলের অনাবাদি জমিগুলো সরিষার মাধ্যমে আবাদের আওতায় আনা হয়েছে।
রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের মুগাদি চরে ভাঙনের শিকার মো. ইউসুফ আলী। তিনি এ বছর এখানে এসে অস্থায়ীভাবে থাকার জন্য ঘর তৈরি করেছেন এবং চার একর জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। তার এই সরিষার জমিগুলোতে ফলন ভালো হয়েছে। তিনি ভালো দাম পাবেন বলে আশাবাদী।
গোয়ালনগর চরের বাসিন্দা হাজের খাতুন জানান, এ বছর কুয়াশা পড়লেও সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। তাদের পারিবারিক ভোজ্য তেলের চাহিদা মিটিয়ে সরিষা বিক্রি করে তাদের সংসারের খরচ জোগাবে।
একই চরের কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, প্রতিবছরই নিজ জমিতে সরিষার আবাদ করেন। এ বছরও করেছেন। এবার ফলন ভালো হলে আগামীতে করার পরিকল্পনা রয়েছে তার।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হজরত আলী বেপারী জানান, গত বছর সরিষার আবাদ ভাল হয়েছে। যে কারণে এ বছর চরের পাঁচটি মৌজায় প্রায় ৫০০ একর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। এ বছর সরিষায় লাভবান হলে তারা আবারও চাষ করবে।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সাফায়েত আহম্মদ সিদ্দিকী জানান, সরকার ঘোষিত তেল ফসলের আবাদ বৃদ্ধির জন্য প্রণোদনা দিয়েছেন। এ কারণে সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছর ২০০ হেক্টর জমিতে আবাদ বেড়েছে। বিশেষ করে চরাঞ্চলের অনাবাদি জমিগুলো এই সরিষার আবাদের আওতায় আনা হয়েছে। এক্ষেত্রে সরিষার স্থানীয় জাতগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা যদি চরাঞ্চলে ক্রমান্বয়ে সরিষার আবাদ আরও বৃদ্ধি করতে পারি তাহলে স্থানীয় চাহিদা মিটাতে পারব।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪
এসএম