ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

সেচ সংকট নেই, চাঁদপুরে ৬৩ হাজার হেক্টরে বোরো আবাদ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২৪
সেচ সংকট নেই, চাঁদপুরে ৬৩ হাজার হেক্টরে বোরো আবাদ

চাঁদপুর: জেলায় এ বছর ৬৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে ধান পাকতে শুরু করেছে।

কয়েকবার বৃষ্টি হওয়ার কারণে সেচের কোনো ধরনের সংকট দেখা দেয়নি। বিদ্যুতের লোডশেডিং থাকলেও স্কিম ম্যানেজারদের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। কৃষি বিভাগ বলছে, এখন পর্যন্ত জেলায় সেচের কোনো সংকট নেই।

সোমবার (০৮ এপ্রিল) সকালে সদর উপজেলার বাগাদী, বালিয়া, লক্ষ্মীপুর ও চান্দ্রা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মাঠগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বোরে ধানের জমির প্রত্যেকটিতে পানি আছে। ধানের রং খুবই ভালো। সেচ প্রকল্পের ধান এখনও কাঁচা এবং বাইরের জমিতে পাকা শুরু হয়েছে।

বাগাদী ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ সাখুয়া গ্রামের কৃষক সোলাইমান খান বলেন, লোডশেডিং ও গরম পড়েছে কয়েকদিন। তবে বৃষ্টি হওয়ার কারণে জমিতে পানির সংকট দেখা দেয়নি। অনেকের জমির ধান পাকতে শুরু করেছে।

একই ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং সেচ প্রকল্পের বাহিরের নিজ গাছতলা গ্রামের কৃষক জাকির হোসেন বলেন, সেচ প্রকল্পের বাইরে নদীর তীরবর্তী জমিগুলোর ধান এক সপ্তাহের মধ্যে কাটা শুরু হবে। এই সময় জমিতে পানি না থাকলে ভালো হয়। লোডশেডিং হলে আমাদের কোনো সমস্যা কিংবা প্রভাব পড়েনি।

চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সাফায়েত আহম্মদ সিদ্দিকী বলেন, জেলার আট উপজেলায় ৬৩ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। বিদ্যুতের লোডশেডিং হয়েছে, কিন্তু সেচের ওপর এখন পর্যন্ত কোনো প্রভাব পড়েনি। জেলার বড় দুটি সেচ প্রকল্প ছাড়াও বাইরের স্কিম ম্যানেজারদের মধ্যে কেউ বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে অভিযোগ করেননি। যদি এমন কিছু থাকতো, তাহলে তারা আমাদের কাছে অভিযোগ করতেন। আমরা বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে কথা বলতাম। মূলত, একাধিকবার বৃষ্টির কারণে সেচের সমস্যা আপাতত নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২৪
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।