নীলফামারী: প্রচণ্ড খরা ও তাপদাহে নীলফামারীতে আমনের ক্ষেত শুকিয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ সেচ দিয়ে ফসলের ক্ষেত বাঁচালেও অনেকের পক্ষে তা সম্ভব হচ্ছে না।
সূত্র জানায়, নীলফামারীর ৬টি উপজেলায় স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় রোপা আমনসহ অন্যান্য ফসল এখন পুরোপুরি সেচ নির্ভর হয়ে পড়েছে। অপরিকল্পিত সেচযন্ত্র ব্যবহারের ফলে কৃষকদের বাড়তি খরচ গুণতে হচ্ছে। সেইসঙ্গে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তরও নেমে যাচ্ছে।
প্রচণ্ড গরম ও তাপদাহে মানুষের জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। ফসলেও পড়ছে এর প্রতিক্রিয়া। জমিতে রস না থাকায় আগাম শীতকালীন শাকসবজি চাষের জন্য আগাম জাতের রোপা আমন ধান চাষ করতে পারছেন না। কৃষকরা কষ্ট করে আমনের চারা বড় করেছেন। সেই ধানে এখন শিষ বের হচ্ছে। কিন্তু তীব্র তাপদাহের কারণে শিষ কালো হয়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, এ বছর চাহিদার তুলনায় বৃষ্টিপাত হয়েছে কম। এখন ভ্যাপসা গরম ও তীব্র তাপদাহ বিরাজ করছে। গত কয়েকদিন ধরে নীলফামারীতে ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে।
জেলার সৈয়দপুরের কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, আমি প্রায় ১০ বিঘা জমিতে আমনের আবাদ করেছি। তীব্র খরা ও তাপদাহের কারণে বর্ষাতেও জমিতে সেচ দিতে হয়েছে। ফলে খরচ বেড়েছে। ধান উৎপাদনে যে খরচ হচ্ছে তা আর ওঠানো সম্ভব হয় না। এ কারণে আমরা কৃষকরা বরাবরই লোকসানে থাকি।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক ড. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম জানান, তাপমাত্রা বেশি হলে ধানে চিটা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কৃষকদের ধানক্ষেতে সেচের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। ধানের পরাগায়ন স্তরে তাপমাত্রা বেশি হলে চিটা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ধানের পরাগায়ন ভালো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪
আরএ