রোববার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পিকেএসএফ ভবনে ‘রুরাল মেশিনেশন এ ড্রাইভ ইন অ্যাগ্রিকালচার চেইঞ্জ অ্যান্ড রুরাল ডেভলোপমেন্ট’ শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী কৃষকের পাশে আছেন।
মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন, আমি কাউকে উদ্দেশ্য করে বলছি না, কোনো সরকার যদি মনে করে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবো না, কৃষি যেমন আছে তেমনি থাকবে, তাহলে একরকম কাজ হবে, আর যদি মনে করে আমি নিজের পায়ে দাঁড়াবো, কারো কাছে হাত পাতবো না, তাহলে কৃষিতে দৃষ্টিভঙ্গি হবে অন্যরকম।
মন্ত্রী বলেন, ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলাম। একটি দেশ পর পর তিন বছর যখন খাদ্য দ্রব্য আমদানি করতে হয় না তখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়। আর ২০০৭ -২০০৮ সেই দেশই সারা পৃথিবীতে টাকা নিয়ে ঘুরেছে কিন্তু খাবার পাওয়া যাচ্ছিলো না।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালের আগে যারা ক্ষমতায় ছিল তাদের কথা ছিল খাদ্যে মোটেই স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া যাবে না। কারণ, তাহলে বিদেশি সাহায্যে পাওয়া যাবে না। কিন্তু ওই সময়ে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তাহলে কি আমরা চিরদিন রাস্তার পাশে ভিক্ষুক হয়ে থাকব, ভিক্ষা নেওয়া জন্যই কি দেশটা থাকবে এই জন্যই কি আমরা দেশটা স্বাধীন করছি?
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন , বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর আতিউর রহমানসহ আরও অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭
আরএটি/এমজেএফ