সবুজের সমারোহ চারদিকে। মাঠে মাঠে বইছে মৃদু বাতাস।
কৃষক আব্দুল মতিন। নন্দীগ্রাম উপজেলার কাথম বেতগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় জাত কৃষক তিনি।
এ কৃষক বাংলানিউজকে জানান, অন্যের জমি বর্গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সবজি চাষ করে আসছেন তিনি। সেই ধারাবাহিকতায় এবারো তিনি সাড়ে তিন বিঘা জমিতে ছাপা জাতের বেগুন লাগিয়েছেন।
সবমিলে তার ব্যয় হয়েছে দুই লাখ টাকার মতো। ইতোমধ্যেই তিনি দুই লাখ টাকার অধিক বেগুন বিক্রি করেছেন। আরো অনেক টাকার বেগুন বিক্রি করা যাবে যোগ করেন কৃষক আব্দুল মতিন।
সদর উপজেলার কৃষক রমজান আলী, শেরপুর উপজেলার কৃষক সামছুল আলম বাংলানিউজকে জানান, শীতকালীন সবজি হিসেবে অন্য সবজির পাশাপাশি তারা এবার বেশির ভাগ জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। ফলনও ভাল হয়েছে। দামও ভাল পাচ্ছেন। এছাড়া সবজি চাষে ব্যয় অন্যান্য ফসলের চেয়ে কম হয়।
তারা আরো জানান, ক্ষেতের বেগুন উঠানোর শুরুর দিকে পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি বেগুন ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। বর্তমানে একই বেগুন ৪০-৪৫ টাকা কেজি হিসেবে পাইকারী দরে বিক্রি করছেন। এতে বেগুন চাষিরা এবার ভাল লাভবান হবেন। বেগুন তাদের ভাগ্যের চাকা অনেকটা ঘুরিয়ে দিয়েছে বলেও জানান এসব কৃষকরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ওবায়দুর রহমান মণ্ডল বাংলানিউজকে জানান, শীতকালীন হিসেবে এ জেলায় বিপুল পরিমাণ জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে বেগুন ও মরিচের জমির পরিমান বেশি। এ দু’টো সবজির দাম কৃষক ভাল পেয়েছেন বা পাচ্ছেন। বেগুন ও মরিচ চাষিরা ব্যাপকভাবে লাভবান হচ্ছেন বলেও জানান কৃষি বিভাগের । ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
এমবিএইচ/এএটি