ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

মাঠ কাঁপাতে আসছে ব্রি-৮১, হেক্টরে উৎপাদন ৬.৫ টন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭
মাঠ কাঁপাতে আসছে ব্রি-৮১, হেক্টরে উৎপাদন ৬.৫ টন উন্নয়ন মেলায় ব্রি-৮১ ধান এর প্রদর্শনী। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: কৃষকের মাঠ কাঁপাতে আসছে নতুন জাতের উচ্চ ফলনশীল ধান ব্রি-৮১।  বোরো মৌসুমে সারা দেশে চাষাবাদের উপযোগী এই ধান দেখতে অনেকটা জিরাশাইলের মতো। প্রতি হেক্টরে উৎপাদন হবে প্রায় সাড়ে ছয় টন। আগামী বোরো মৌসুমে মাঠে আসবে নতুন জাতের এ ধান।

বর্তমানে দেশে মোট ৭৯ প্রজাতির ধান আছে। ব্রি-৮১ দিয়ে ধানের জাতের সংখ্যা হবে ৮০টি।

তবে ব্রি-১৩ জাতের ধানটি এখন দেশে নেই।
 
সোমবার নগরীর শেরে বাংলানগর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত উন্নয়ন মেলা-২০১৭’তে  বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিআরআরআই) নতুন ধান প্রদর্শন করছে।
 
এই জাতটি বোরো মৌসুমের জনপ্রিয় জাত ব্রি-২৮ এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হবে জমিতে। কারণ একই জমিতে ব্রি-২৮ ধান বার বার চাষাবাদের ফলে উৎপাদন কমছে। এই চিন্তা মাথায় রেখে ধানটি উদ্ভাবন করা হয়েছে। ধানের গাছটি প্রতিকূল আবহাওয়ায় ঢলে পড়বে না। এর জীবনকাল ১৪০ থেকে ১৪৫ দিন ।

ব্রি-৮১ ধান ও চাল।  ছবি: জিএম মুজিবুর এই নতুন জাতের ধানের বিশেষত্ব হলো, চাল লম্বা হয়। এ ধান উচ্চমাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ। রান্না করার পর ভাত ঝরঝরে হয়। সুগন্ধ ছাড়া প্রিমিয়াম কোয়ালিটি সরু চাল বিদেশে রফতানি করা সম্ভব হবে।
 
বিআরআরআই-এর সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নিলুফা ফেরদৌস বাংলানিউজকে বলেন,  মানুষের ভাতের পছন্দের ও উৎপাদনের কথা চিন্তা করেই ধানটি উদ্ভাবন করা হয়েছে। আমরা পাইলট প্রকল্প হিসেবে এই জাতের ধানটি স্বল্প পরিসরে উৎপাদন করেছি। হেক্টর প্রতি ছয় থেকে সাড়ে ছয় টন ধান উৎপাদন সম্ভব। ভাত লম্বা ও ঝরঝরে হয়ে। দারুণ সুগন্ধি যুক্ত চাল বিদেশে সহজেই রফতানি যোগ্য হবে বলে আমরা আশা করছি। পরবর্তী বোরো মৌসুমে মাঠে আসবে ধানটি। ’
 
গাছের উচ্চতা ৯০ সেন্টিমিটার। পাকার সময় ধানের শীষ উপরে থাকে। চাল মাঝারি চিকন ও সাদা। ভাতও সুস্বাদু। বীজ তলায় বীজ বপনের সময় ১-১৫ অগ্রহায়ণ। চারার বয়স ৩৫ থেকে ৪০ দিন। চারা রোপনের সময় ৭-১২ মাঘ। প্রতি গোছাতে ২ থেকে ৪টি চারা লাগানো হয়। প্রতি বিঘাতে ৩০ থেকে ৪০ কেজি ইউরিয়া, ৮ কেজি টিএসপি, ৪ থেকে ১১ কেজি জিপসাম ও ১ কেজি দস্তা লাগে। চারা রোপনের ৪০ দিন পযর্ন্ত আগাছা দমন করতে হবে। দুধ অবস্থা পযর্ন্ত রস ও পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে। ২০ চৈত্র থেকে ৫ বৈশাখ এর মধ্যে কৃষকের ঘরে উঠবে ব্রি-৮১।
 
উন্নয়ন মেলায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিআরআরআই) এর স্টল ছবি: জিএম মুজিবুর ছয় দিনব্যাপী মেলায় মোট স্টল ১৩৩টি।   এর মধ্যে নয়টি সরকারি এবং পিকেএসএফ-এর ৫টি। প্রতি দিন মেলা চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পযর্ন্ত। টিকিট ছাড়াই মেলা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। রোববার (২৯ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া মেলা শুক্রবার (৩ নভেম্বর) পযর্ন্ত চলবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭
এমআইএস/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।