ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

বছর জুড়েই জ্যৈষ্ঠের আম!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
বছর জুড়েই জ্যৈষ্ঠের আম! সারাবছরই মুকুল ফোটে এই গাছে। ছবি: মাহিদুল ইসলাম রিপন

দিনাজপুর : জ্যৈষ্ঠকে আমরা সকলেই বলে থাকি মধু মাস। এ মাসে গরমের তীব্রতা বেশী থাকলেও মন ভরিয়ে দেয় নানা রসালো ফলের সমাহার। এগুলোর অন্যতম হলো আম। এই আম মূলত জ্যৈষ্ঠ বা এর আগে-পরের মাসগুলোতে চোখে পড়ে।

মধু মাস জ্যৈষ্ঠ বিদায় নেওয়ার পর কয়েক মাস পেরিয়ে গেছে। চারপাশে এখন শীতল বাতাসে শীতের বার্তা।

কমতে শুরু করেছে সূর্যের দাপট। সন্ধ্যার পর শরীরে জড়াতে হচ্ছে গরম কাপড়। এমন সময়ে কোনো গাছে সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে জৈষ্ঠ্যের মধু ফল ঝুলতে দেখলে অবাক হওয়াই স্বাভাবিক।

শীত মৌসুমে এমনই অস্বাভাবিক কাণ্ড দেখা গেলো দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার দাইনূড় সীমান্ত এলাকার মো. বাবুল আক্তারের বাড়িতে। তার উঠানের গাছে ঝুলছে বড় বড় আম। একদিকে গাছটির আম বড়ো হচ্ছে, অপরদিকে একই গাছের ডগায় বের হচ্ছে নতুন মুকুল। বছরের বারো মাসই গাছটিতে মুকুল ও আম ঝুলতে থাকে। এই আম গাছটি দেখতে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে শত শত মানুষ।

সারাবছরই আম হয় এই গাছে।  ছবি: মাহিদুল ইসলাম রিপনশনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে বাবুলের বাড়িতে গেলে এমন চিত্রই দেখা যায়। দেখা যায়, ১৫ থেকে ১৭ ফুট উঁচু আম গাছটির চারপাশে ঝুলছে আড়াইশ’ থেকে তিনশ’ গ্রাম ওজনের বড় বড় আম। পাশেই মুকুল ফুটেছে।  

বাংলানিউজকে বাবুল আক্তার জানান, বছর পাঁচেক ‍আগে ভারত থেকে কয়েকটি আম চারা এনে বাড়ির উঠানে রোপন করেন তিনি। সেগুলোর মধ্যে অন্যান্য গাছে বছরে একবার মুকুল ও আম ধরলেও একটি গাছে বারো মাসই মুকুল ও আম ধরে। আমটি কোন্ জাতের তা বলতে না পারলেও কাঁচা অবস্থাতেও খেতে খুবই মিষ্টি ও সুস্বাদু বলে জানান তিনি।

বাবুল বলেন, পরিপক্ক হয়ে পাকলে খেতে মধুর মতোই স্বাদ পাওয়া যায় এ আমে। এ গাছের একেকটি আম সাড়ে ৩'শ থেকে ৪শ’ গ্রাম ওজনের হয়ে থাকে। গাছটিতে গত বছর জুন-জুলাই থেকে আম ধরতে শুরু করে। এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে মুকুল ও ফল আসছে।

তিনি আরো জানান, এই আম গাছ থেকে চারা তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। আগামীতে এই গাছ থেকে পাওয়া চারা বাড়ির আশপাশে বেশী করে লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বারোবাসী আম গাছের সঙ্গে বাবুল।  ছবি: মাহিদুল ইসলাম রিপনআম গাছটি দেখতে আসা পার্শ্ববর্তী কমলপুর আটর গ্রামের বাসিন্দা তাঞ্জিলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবেশী একজনের কাছে শুনেই গাছটি দেখতে এসেছি। দেখেই অবাক, মধু মাস জ্যৈষ্ঠের আম এই অগ্রহায়ণে। ফলের পাশাপাশি নতুন করে আসছে মুকুলও।

গাছের আকার অনুযায়ী আমের সংখ্যাও অনেক বেশী। কৃষি বিভাগ এই গাছটির উপর গবেষণা করে চারা বের করলে আমরা স্থানীয়রা সারা বছর আম পাবো।  

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।