এক হালি ডিমের দাম ৬’শ টাকা! আর একটি টার্কির দাম ওজন ভেদে কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
আশুলিয়ার দোশাইদ গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আমির হোসেন সরকার।
এখন তার খামারে রয়েছে প্রায় ১২শ টার্কি। বিক্রি করেছেন প্রায় ৫ থেকে ৬ শ টার্কি। নিজেই বাড়িতে কিনে নিয়েছেন ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর যন্ত্র (ইনকিউবেটর)। আগামী এক বছরে প্রায় চার হাজার টার্কি তার খামারে থাকবে বলেও আশা করছেন আমির হোসেন।
তার পথ অনুসরণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাজিদুল হক প্রধান। টার্কির খামার এনে দিয়েছে স্বনির্ভরতা। সেই ধারাবাহিকতায় এখন অন লাইনেই করছেন টার্কির মাংস বিপণনের জমজমাট ব্যবসা। চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ কম বলেও জানান তিনি। সাভারে গ্রিন আর্থ এগ্রো নামের একটি একটি অনলাইনের মাধ্যমে ভোক্তাদের দোরগোঁড়ায় টার্কির মাংস পৌঁছে দিয়ে চলেছেন। প্রতি সপ্তাহে প্রায় ২০০ কেজি মাংস সরবরাহ করতে পারেন তিনি। তবে প্রকৃতপক্ষে এর চাহিদা আরো অনেক বেশি বলেও জানান তিনি। বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা ও মানুষের মাঝে এর প্রচার না থাকায় কিছুটা বেগ পেতে হয় বলেও তিনি জানালেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগ ) অধ্যাপক ড. সুবাস চন্দ্র দাস জানান, দেশের পোল্ট্রি খাতে সম্ভাবনার এক নতুন অধ্যায় হতে পারে টার্কির খামার। লালন পালন খরচ কম ও অল্প জায়গায় এই খামার গড়ে তোলা যায়। টার্কি লতাপাতা এমনকি কচুরিপানা ছোট করে কেটে দিলেও খেতে পারে।
তাছাড়া এর রোগ বালাইও তুলনামুলক ভাবে কম হয় বিধায় প্রথমবারের মতো গবেষণায় প্রান্তিক ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে টার্কি পালন করা যেতে পারে।
উৎপত্তি উত্তর আমেরিকায় হলেও বাড়তি চর্বি না থাকায় দিন দিন বাড়ছে টার্কির মাংসের কদর। দিন দিন খামারের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মাংসের দামও চলে আসতে শুরু করেছে হাতের নাগালে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
আরআই