বদরগঞ্জের হাটবাজারে ভেজাল, নষ্ট বীজ অবাধে বিক্রি হচ্ছে বলে ভুক্তভোগী কৃষকরা অভিযোগ করলেও কৃষি অফিস বলছে ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, উপজেলার বীজের দোকানগুলোতে কোনো ভেজাল বীজ নেই।
সোমবার (১১ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বীজ ভান্ডারগুলোতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা হয়। এক জায়গায় কিছু লোকের জটলা চোখে পড়ে। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে এগিয়ে আসেন অটো ক্রপ কেয়ার লিঃ এর উপজেলা সেলস্ প্রমোশন অফিসার হাবিবুর রহমান।
তিনি অভিযোগ করেন, তার কোম্পানির লোগো ব্যবহার করে ঢাকা ‘সীড স্টোর’ কৃষকদের কাছে ভেজাল, নষ্ট বীজ বিক্রি করছে। এতে করে কৃষকরা প্রতারিত হচ্ছেন। চাহিদা বেশি থাকার পরও কোম্পানি থেকে আমি মাত্র ১২ ব্যাগ বীজ পেয়েছি। অথচ তারা এতো বীজ কোথা থেকে পেল?
ঢাকা সীড স্টোরের স্বত্বাধিকারী রাহাত আলম অবশ্য দাবি করেন, তিনি এই বীজ জয়পুরহাট থেকে সংগ্রহ করেছেন।
কথা হয় উপজেলার কালুপাড়া ইউপির প্রতারিত কৃষক শাহাজাহান আলির সাথে। তিনি অভিযোগ করেন, ঢাকা সীড স্টোর ১০ কেজির প্রতি ব্যাগ বিআর-১৬ ধানের বীজের জন্য আমার কাছ থেকে ৫শত টাকা নিয়েছে। অথচ রিসিপ্টে লিখেছে ৩শত ৫০ টাকা। বাকি টাকার রিসিপ্ট চাইলেও দোকানদার তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
উপজেলার রামনাথপুর ইউপির খিয়ারপাড়া গ্রামের কৃষক নওশাদ আলি জানান, শুধু ঢাকা সীড স্টোর নয়, উপজেলার সবক’টি বীজের দোকানেই চলছে ভেজাল বীজের রমরমা ব্যবসা ও চাতুরি।
তিনি সখেদে বলেন,আমরা কৃষক মানুষ,কার কাছে বিচার চাইবো! তাই চুপ থাকাই শ্রেয় মনে করছি।
বদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবর রহমান বলেন, অনেক ভুক্তভোগী প্রতারিত কৃষক আমাদের অফিসে এসে ভেজাল বীজ সম্পর্কে মৌখিক অভিযোগ করে গেছেন। তবে আমাদের লোকজন মনিটরিংয়ে গিয়ে ভেজাল বীজের অস্তিত্ব পাননি।
বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল হক জানান,বিষয়টি তার জানা নেই। ভেজাল বীজ বিক্রির ঘটনা ঘটে থাকলে বীজের দোকানগুলোতে দ্রুতই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
বাংলাদেশ সময: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
জেএম