জেলার বিএডিসি বীজ বিপণন কর্পোরেশন বিক্রয় কেন্দ্রের উপসহকারী পরিচালক আফসানা বেগম জানান, এবারে ব্রি ধান ২৮ বীজ সরবরাহ পাওয়া গেছে সাড়ে ১২ মেট্রিক টন, ব্রি ধান ২৯ বীজ পাঁচ মেট্রিক টন, সুপার হাইব্রিড এসএল ৮ এইচ ৩৪০ কেজি। ১০ দিন আগে ব্রি ধান ২৯ এবং সুপার হাইব্রিড এসএল ৮ এইচ শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, ব্রি ধান ২৯ এবং সুপার হাইব্রিড এসএল ৮ এইচ জাতের বীজতলা তৈরির সময় শেষ হয়েছে। এ কারণে ওই জাতের বীজ আর সরবরাহ আসবে না।
জানা যায়, জেলায় এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৪ হাজার ২৭৯ হেক্টর জমিতে। ওই পরিমাণ জমি আবাদে বীজের চাহিদা এক হাজার ৬৯৮ মেট্রিক টন।
কৃষকরা বলছেন, বাজারে বীজের সংকট দেখা দিলেও গোপনে বেশি দামে ব্যবসায়ীদের কাছে বীজ পাওয়া যাচ্ছে। কৃত্রিম এমন সংকটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা।
জেলা শহরের উকিলের মোড়ের বীজ ব্যবসায়ী শাহ ট্রের্ডাসের মালিক মামুনুর রশিদ বলেন, আমি খুচরা ব্যবসায়ী, ডিলারের কাছ থেকে কিনে এনে বীজ বিক্রি করি। এবারে ব্রি ধান ২৯সহ হাইব্রিড জাতের চাহিদা বেশি, এ কারণে বাজারে ওই বীজের সংকট দেখা দিয়েছে। নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বীজ কেনার কারণে দাম বেশি পড়ছে।
কৃষকরা আরও অভিযোগ করেন বীজ বিক্রেতারা নির্ধারিত দামে বীজ দিচ্ছে না, দ্বিগুণ দামে বীজ বিক্রি করছে। আবার বীজ কিনে রশিদ চাইলে রশিদও দেয় না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭
আরএ