বৃষ্টির অভাবে কৃষকদের রোপণ করা আমন ধানের জমিও ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। ফলে কৃষকদের ক্ষেত নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
অবশ্য উপজেলা কৃষি অফিস দাবি করছে, কাঙ্খিত ফসল উৎপাদন হবে। কারণ হিসেবে তারা মনে করেন, ঈদের পর কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে, যেহেতু বর্ষা মৌসুম, এখনও অনেক সময় আছে বৃষ্টি হওয়ার।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ হাজার ৫৮৩ হেক্টর, অর্জিত হয়েছে ১৯ হাজার ৫৯৫ হেক্টর জমি। আমনের জাতগুলির মধ্যে রয়েছে বিআর-১১, ব্রি ধান-৩৪, ব্রি ধান-৫১, ব্রি ধান-৫২, ব্রি ধান-৪৯, ব্রি ধান-৬২, ব্রি ধান-৭৫ ও বিনা-৭। স্বর্ণা জাতের মধ্যে রয়েছে গুটি স্বর্ণা, মামুন স্বর্ণা, রনজিৎ স্বর্ণা, স্বর্ণা-৫, হরি ধান প্রভৃতি।
সরেজমিনে বদরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আমন চারা রোপণের পর অনেক জমি বৃষ্টির অভাবে ফেটে গেছে। আমন ক্ষেত ঘাস আর আগাছায় ভর্তি হয়ে গেছে।
কথা হয় উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের টেক্সেরহাট এলাকার কৃষক আরমানুজ্জামানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় বাধ্য হয়ে আমি ৫ বিঘা জমিতে শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি টেনে আমন চারা রোপণ করেছিলাম। শুধু আমি না আমাদের এ অঞ্চলের অনেক কৃষক এভাবেই আমন চারা রোপণ করেছেন। কিন্তু আমন চারা রোপণের পর বৃষ্টির অভাবে আমার ক্ষেত ফেটে গেছে। চারা মরে যাচ্ছে। আমন ক্ষেত নিয়ে আমি খুব দুশ্চিন্তায় আছি। জানি না এবার কি হবে।
একই এলাকার অপর কৃষক বাবু মিয়া জানান, বৃষ্টির অভাবে একদিকে জমি ফেটে আমন চারা মরে যাচ্ছে, অন্যদিকে জমি আগাছায় ভরে গেছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আমন ধানের উৎপাদন ব্যাহত হবে।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কনক রায় জানান, বৃষ্টির অভাবে আমন চারা রোপণে কিছুটা দেরি হয়েছে। ঈদের পর বৃষ্টি হওয়াতে আমন ক্ষেত নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। তবে উঁচু, বালুময় জমিতে পানি না থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।
বদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মাহবুবর রহমান জানান, আমন ধানের চারা রোপণে কিছুটা দেরি হলেও চলতি বছর এ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ হেক্টর বেশি অর্জিত হয়েছে। আশা করছি কাঙ্খিত ফসল উৎপাদনে আমরা সক্ষম হবো।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২১ ঘণ্টা, ২৭ আগস্ট, ২০১৮
আরআর