মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) দিনগত রাতে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার পাল।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশে কৃষি উৎপাদন সচল রাখতে এবং উৎপাদিত ধান কাটা এবং ধান মাড়াইয়ে কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাইবান্ধা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতির নেতৃত্বে এ হটলাইন চালু করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে কৃষক লীগের হটলাইনের মাধ্যমে সংগ্রহ করা কৃষি শ্রমিকদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে বিনা খরচে দুইটি বাসে ৬২ জন সুনামগঞ্জ ও নাটোর জেলায় কৃষি শ্রমিকদের পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও একই দিন গোবিন্দগঞ্জ থেকে ২৫ জন শ্রমিককে বগুড়ার নন্দীগ্রামে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ২০ এপ্রিল বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ থেকে নাটোরের সিংড়া থানার চলনবিল অঞ্চলে ২২ জন শ্রমিককে পাঠানো হয়।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে যাতে দেশের কৃষি শ্রমিক সংকট না হয়, এজন্যই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক (ডিসি) আব্দুল মতিন বাংলানিউজকে জানান, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এসব শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক নির্দেশনাসসহ প্রত্যেককে দু’টি করে উন্নতমানের মাস্ক দেওয়া হয়েছে। পরে দু’টি বিশেষ বাসে করে তাদের গাইবান্ধা থেকে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাইবান্ধা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি বাংলানিউজকে জানান, ১০টি হটলাইনের মাধ্যমে সারা দেশের কৃষি শ্রমিক সংকট মোকাবিলায় কাজ চলছে। সুনামগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা কৃষক লীগের নেতা-কর্মীরা হটলাইনের মাধ্যমে শ্রমিকের চাহিদা জানাচ্ছে। সেই অনুযায়ী গাইবান্ধাসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার কৃষক লীগের নেতা-কর্মীরা কৃষি শ্রমিক সংগ্রহ করছেন এবং জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিশেষ ব্যবস্থায় শ্রমিক পাঠানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২০
এসআরএস