মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) জেলায় আরও ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। এতে নতুন করে আরও কিছু এলাকার ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ছয় দিনের টানা বর্ষণের কারণে কৃষকের ক্ষেতের ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এদের মধ্যে কিছু ফসলের ক্ষেতে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক জায়গায় সয়াবিন, মুগ, বাদাম, ফেলন, তিল ক্ষেত তলিয়ে গেছে। কিছু গাছ হেলে পড়েছে, কিছু ফসল ঝরে পড়েছে এবং কিছু ফসলে পচন ধরতে শুরু করছে। যে মুহুর্তে কৃষকরা ফসল ঘরে তুলবেন বলে আশা করছিলেন, ঠিক তখনই বৃষ্টিতে তাদের স্বপ্ন ভেঙে গেছে।
কৃষকরা জানান, করোনার কারণে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় ফসলের ক্ষতি হলে তারা আর্থিকভাবে লোকসানের মুখে পড়বেন। এমন চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হরলাল মধু জানান, এভাবে বৃষ্টি থাকলে ফসলের ক্ষতি হবে। আমরা আক্রান্ত ফসলের ক্ষেতের তালিকা তৈরী করেছি এবং কৃষকদের পানি নিষ্কাশনের পরামর্শ দিচ্ছি। যেসব ফসল ঘরে তোলার সময় হয়েছে সেগুলো দ্রুত ঘরে তুলতে বলা হয়েছে।
তিনি জানান, জেলায় এ বছর ৩৭ হাজার ৪১৫ হেক্টর জমিতে মুগ, ১০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে ফেলন, ১৮ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে মরিচ, ৯ হাজার ৭৭৯ হেক্টর জমিতে সয়াবিন, ১৪ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে বাদাম, ৮ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে সবজি এবং ২৮৫ হেক্টর জমিতে তিলের চাষ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২০
এইচএমএস/ইউবি