লালমনিরহাট: বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নতুন স্বপ্ন বুননে ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাটের চরাঞ্চলের চাষিরা।
জানা গেছে, তিস্তা, ধরলা আর সানিয়াজান নদী বেষ্টিত লালমনিরহাটের প্রায় অর্ধশত চরাঞ্চল রয়েছে।
তবে সেচ ব্যবস্থায় চরাঞ্চলের চাষাবাদে সব থেকে বড় সমস্যা। বালু জমি হওয়ায় সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ফসলের ক্ষেতে সেচ দিতে হয় চরাঞ্চলের চাষিদের। তার ওপর প্রত্যেক চাষির সেচ পাম্প নেই। ফলে ভাড়ায় চালিত শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে পানি পলিথিনের বিশেষ পাইপ দিয়ে প্রতি ঘণ্টা ১০০ টাকা দামে ক্রয় করতে হয় তাদের। যা ব্যয় বহুল ও পরিশ্রমের। এভাবেই কঠোর শ্রম ও অর্থ ব্যয় করে স্বপ্ন বুনেন চরাঞ্চলের চাষিরা। শুস্ক মৌসুমের চাষাবাদে অর্জিত আয়ে বন্যাকালীনসহ বাকী সময় চলে চরবাসীর প্রতিটি পরিবারের সংসার। তিস্তার চরাঞ্চল কালীগঞ্জের চর বৈরাতি গ্রামের মমিনুল আনোয়ারা কৃষক দম্পত্তি বাংলানিউজকে বলেন, বাপ-দাদার ভিটে-মাটি সব তিস্তার হিংস্রো স্রোতে বিলিন হয়েছে। গোয়াল ভরা গরু আর গোলা ভরা ধান ছিল আমাদের। বর্তমানে কিছুই নেই। যা আছে সবই ধূ ধূ বালুর চর। তবে সংসার চালাতে কনকনে ঠাণ্ডাকে উপেক্ষা করে এই বালু চরে পানি সেচ দিয়ে ভুট্টা, রসুন, পেঁয়াজ ও আলুর চাষাবাদ করছি।
একই চরের আফজাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এক সময় জমি-জিরাত (ফসলের মাঠ) সবই ছিল। তিস্তা যা কেড়ে নিয়েছে। শীত মৌসমে পানি কমে যাওয়ায় সেই বসত-ভিটার জায়গা আবার জেগে উঠেছে। আর সেই বসত-ভিটায় এখন তাংকু (তামাক) আবাদ করছি। তাংকু বিক্রি করে সারা বছর সংসারের খরচ চালাবো।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২০
এসআরএস