কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় বোরো ফসলের জন্য কৃষক পর্যায়ে নতুন জাতের ‘ব্রি-ধান-৮৪’ আবাদ করা হয়েছে। এ ধানের ফলনও হয়েছে ভালো।
এ বছর উপজেলায় নতুন জাতের ধানের আশানুরূপ ফলন হওয়ায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, এতে অধিক লাভবান হবেন কৃষক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ বছর উপজেলার আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের ধূলজুরী গ্রামে নতুন জাতের বোরো ‘ব্রি-ধান-৮৪’ কৃষক পর্যায়ে উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয়। এরই অংশ হিসেবে ধূলজুরী গ্রামের কৃষক মো. মুজিবুব রহমানের ৫ একর জমিতে নতুন জাতের ‘ব্রি-ধান-৮৪’ রোপণ করা হয়। এ ধানের গাছের গড় উচ্চতা ৯৬ সেন্টিমিটার এবং জীবন কাল ১৪০ দিন। কৃষক পর্যায়ে এ ধানের ফলনও ভালো হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নত মানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় উন্নত মানের মাঠ প্রদর্শনী কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।
আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের ধূলজুরী ব্লকের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুরাইয়া নাজনীন বাংলানিউজকে জানান, মাঠ পর্যায়ে নতুন ধানের জাত উৎপাদনে কৃষকদের নিয়মিত সহায়তা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কৃষক মো. মুজিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, নতুন জাতের ধানের ফলন ভালো হয়েছে। এ ধানের আবাদ করে খুবই আনন্দিত ও লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছি।
ব্রি-ধান- ২৮ এর মতো উচ্চ মাত্রার জিংক ও আয়রন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ এ নতুন জাতের ‘ব্রি-ধান-৮৪’ ধানের ভাত ও পোলাও বেশ সু-স্বাদু। উৎপাদনের উদ্দেশ্য হলো কৃষক পর্যায়ে ধান উৎপাদন করে বীজ সংরক্ষণ ও নিজের জন্য ব্যবহার এবং পার্শ্ববর্তী কৃষকদের মধ্যে বিক্রি করে জাত সম্প্রসারণ করা। এমনটাই বলছেন কৃষি কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইমরুল কায়েস বাংলানিউজকে জানান, এ নতুন জাতের ধান উৎপাদনে কৃষকদের বিনামূল্যে সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, হেক্টর প্রতি এ নতুন ধানের ফলন ৬.৫ মেট্রিক টন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২১
আরএ