ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

কৃষিতে এডিপি বাস্তবায়নের হার ১৮ শতাংশ বেশি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৩ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২১
কৃষিতে এডিপি বাস্তবায়নের হার ১৮ শতাংশ বেশি

ঢাকা: করোনা মহামারির প্রকোপের মধ্যেও কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের মে ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৭৬ শতাংশ। মে মাস পর্যন্ত জাতীয় গড় অগ্রগতি ৫৮ শতাংশ।

সেই হিসাবে কৃষিতে এডিপি বাস্তবায়নের হার জাতীয় গড় অগ্রগতির চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি।

সভায় জানানো হয়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের মে ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৭৬ শতাংশ। এ অগ্রগতি জাতীয় গড় অগ্রগতির চেয়ে ১৮ বেশি। মে মাস পর্যন্ত জাতীয় গড় অগ্রগতি ৫৮ শতাংশ। অবশিষ্ট এক মাসের মধ্যে প্রায় শতভাগ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

বাস্তবায়ন অগ্রগতির এই হার গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি। গত বছর মে, ২০২০ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতির হার ছিল ৫৯ শতাংশ। মোট বরাদ্দ ১ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকার মধ্যে ব্যয় হয়েছিল ১ হাজার ৪২ কোটি টাকা। চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরের ৮৫টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট বরাদ্দ ২ হাজার ৩২২ কোটি টাকার মধ্যে ১ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা ইতোমধ্যে ব্যয় হয়েছে।

সভায় কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চলমান করোনা মহামারি ও ঘূর্ণিঝড়, বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে এডিপি বাস্তবায়নে এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আমাদের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে। করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সম্মুখসারির যোদ্ধাদের মতো সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে অতিদ্রুত লবণাক্তসহিষ্ণু ধানের জাত সম্প্রসারণের জন্য সবাইকে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, আমাদের চাষের জমি কমছে, মানুষ বাড়ছে, খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে খাদ্যের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতাকে টেকসই করতে হলে আরও নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। ইতোমধ্যে ব্রিধান ৬৭, ব্রিধান ৯৭, ব্রিধান ৯৯, বিনা-১০সহ অনেকগুলো লবণাক্তসহিষ্ণু জাতের ধান উদ্ভাবিত হয়েছে। এগুলোর পর্যাপ্ত বীজ উৎপাদন করে কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

সভা সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। এ সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) ড. মো. আব্দুর রৌফ, অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মো. রুহুল আমিন তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ওয়াহিদা আক্তার, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) হাসানুজ্জামান কল্লোল,অতিরিক্ত সচিব (সার ও উপকরণ) মো. মাহবুবুল ইসলাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ এবং অন্যান্য সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে কৃষিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২০-২১ দেন। এ বছর কৃষি মন্ত্রণালয়ের ও দপ্তর/সংস্থার মধ্যে ৩ জনকে এ পুরস্কার দেওয়া করা হয়। দপ্তর/সংস্থার প্রধানদের মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে উপসচিব এস এম ইমরুল হাসান ও কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল বাতেন সিরাজী পুরস্কার পান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২১
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।