ঢাকা: উৎপাদন খরচ কমিয়ে দেশের কৃষকদের লাভবান করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন দাতা ও উন্নয়ন সহযোগীদের আপত্তি উপেক্ষা করে কৃষিখাতে বিশাল পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি ও প্রণোদনা হিসেবে ধারাবাহিকভাবে দিয়ে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
শনিবার (৩১ জুলাই) সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি ‘পারিবারিক কৃষি ও কৃষক: সরকার ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি উৎপাদনকে কৃষকদের জন্য লাভজনক করতে কাজ করছে। দেশের বেশির ভাগ কৃষকই পারিবারিক, ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষি। সেজন্য কৃষিকে লাভজনক করতে সরকার ক্রমাগতভাবে কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। উৎপাদন খরচ কমাতে ইতোমধ্যে চার বার সারের দাম কমিয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে সারের দাম এখন অনেক কম। সেচ, বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণও সহজলভ্য করেছে সরকার। এছাড়া ৫০-৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে ধান কাটা, মাড়াইসহ বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র।
ধান চাষ এখন লাভজনক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রণোদনা দেওয়া ও চাল আমদানিতে শুল্কারোপসহ সরকারের সময়োপযোগী উদ্যোগের ফলে বিগত কয়েক বছর ধরে কৃষকরা ধানের ভালো দাম পাচ্ছেন ও ধান চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। আম, আনারস, শাকসবজিসহ অন্যান্য ফসল চাষ কৃষকদের জন্য লাভজনক করতে বেসরকারি শিল্পোদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, দেশের ভেতরে ও বাইরে কৃষিপণ্যের বাজারকে আরও বিস্তৃত করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি শিল্পোদ্যোক্তাদের কৃষি প্রক্রিয়াজাতে বিনিয়োগ করতে হবে।
অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) ও দৈনিক বণিক বার্তা এ সেমিনারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে এএলআরডির চেয়ারপারসন খুশি কবির, সিপিবির রুহিন হোসেন প্রিন্স, এএলআরডির আজিম হায়দার, রওশন জাহান মনি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এতে উপকারভোগী, নাগরিক সমাজ, মিডিয়া, এনজিওসহ বিভিন্ন অংশীজনের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২১
জিসিজি/আরবি